রাঙামাটি প্রতিনিধি :
রাঙামাটিতে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে ইজাজুল হক রাব্বি (২৮) নামে এক যুবকণ খুন হয়েছেন। এছাড়া ছুরিকাঘাতে আমির আলী নামে মার্কেটের এক দারোয়ানকে আহত করেন ঘাতক। শনিবার শহরের বনরুপা ফরেস্ট কলোনির কবরস্থান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হলে ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক সেলিম মাহমুদকে (৩০) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আহত আমির আলী রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
শনিবার বিকালে জেলা পুলিশের ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত নিশ্চিত করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদসহ জেলা ও রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, হত্যাকাণ্ড ঘটে ভোরের দিকে। পরে খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল গিয়ে ইজাজুল হক রাব্বির লাশ উদ্ধার করে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা পুলিশের টিম।
বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাকে হত্যা করে ঘাতক। নিহত রাব্বি বনরুপা বিএম মার্কেটের জুতা ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হকের ছোট ছেলে।
লাশ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বেলা ১১টার দিকে শহরের বনরুপার একটি রেস্টুরেন্ট থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি সেলিম মাহমুদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
আসামি সেলিম মাহমুদ বনরুপার ম্যাগপাই নামক রেস্টুরেন্টের কর্মচারী। তিনি নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নের নজুরবাড়ি এলাকার মাহমুদের ছেলে।
আসামি সেলিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ইজাজুল হক রাব্বির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল। সেই সূত্রে তাদের দুজনের মধ্যে আর্থিক লেনদেন হলে রাব্বির কাছে সেলিম টাকা পাওনা ছিল। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে ওই এলাকায় তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে সেলিমকে মারধর করে রাব্বি। এরপর তার কর্মস্থল ম্যাগপাই রেস্টুরেন্টে চলে যায় সেলিম।
শনিবার ভোরে ফোন করে আবার সেলিমকে ওই একই স্থানে ডেকে নিয়ে যায় নিহত রাব্বি। এ সময় আবার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সেলিমের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই রাব্বি মারা যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শি নৈশ প্রহরী আমির হোসেন বাধা দিতে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে ঘাতক সেলিম।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দারোয়ান আমির আলী জানিয়েছেন, ভোরে রাব্বি ও তার বন্ধু ঝগড়ার এক পর্যায়ে কোমর থেকে ছুরি বের করে। রাব্বির বুকের বামপাশে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে ঘাতক। আমি এগিয়ে গেলে আমাকেও পেছন দিক দিয়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করে সে। এ সময় আমার চিৎকারে সে পালিয়ে যায়।
কোতোয়ালি থানার ওসি আরিফুল আমিন জানান, লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।