নিরেন দাস,বিশেষ প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে একটি পদের জন্য এক নেশা গ্রস্থ চাকরি প্রত্যাশির থেকে ১৪ লাখ টাকা লেনদেনের চুক্তি রফা দফা হয়েছে বিজ্ঞপ্তির পূর্বে নিয়োগ বাণিজ্য অধ্যক্ষের৷ চাকরি প্রত্যাশাী ওই ব্যক্তি কালাই উপজেলার বহুতি গ্রামের মৃত্য সামছদ্দীনের ছেলে ফেন্সি জুয়েল চকরির জন্য ক্ষেতলাল বালিকা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সায়ফুল ইসলাম এর সাথে রাফা দফা হয়েছে৷
নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার আগেই জানা যাচ্ছে কোন পদে কে চাকরি পেতে যাচ্ছেন। কখনো টাকা দিয়েও চাকরি না পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করছেন চাকরি প্রার্থীরা। এমনকি নিয়োগে অনিয়ম বন্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন ও আদলতে মামলার ঘটনাও ঘটছে। জেলার বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চতুর্থ শ্রেণি, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ এমপিও স্কুল কলেজ কর্তৃপক্ষ যেসব নিয়োগ দিচ্ছে, সেগুলোতে প্রায়ই এমন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সর্বশেষ জনোবল অবকাঠামো নিমিত্তে ২০২১ নিতিমালা অনোসারে গত ২২ জানুয়ারী ২০২৩ দৈনিক জনো কন্ঠ ও আঞ্চলিক দৈনিক বগুরায় কম্পিউটার ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট ১ জন ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস এক জন, পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়৷ ক্ষেতলাল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের৷
কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি পদের জন্য ১২থেকে ১৬ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণ না হলেও অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করছে শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা। এমপিও ভুক্ত স্কুল কলেজ মাদ্রসা কর্তৃপক্ষ যেসব নিয়োগ দিচ্ছে, সেগুলোতে প্রায়ই অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
যেখানে নিয়োগ পরীক্ষা ও বিজ্ঞপ্তির আগেই নির্দিষ্ট এক প্রার্থীর নামে সম্প্রতি ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছে তার একটি অডিও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে এ অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। ফেন্সি জুয়েলকে
ল্যাব সহকারী পদে মোননিত কারা হয়েছে তার নাম ফেন্সি জুয়েল প্রায় ১২ বছর ধরে ফেন্সিডিলে আসক্তি তার একটি ভিডিও ফুটে আমাদের হাতে এসেছে৷ গোপন সূত্রে যানা যায় বাংলাহিলি আটাপারা ভুটিয়া পাড়া চেঁচরা কয়া সিমান্তবর্তী বডার এলাকার তথ্যে ফেন্সি জুয়েল ১২/১৩ বছর ধরে নেশার জগতে আছে৷
সরজমিনে বৈরাগী বজার এলকায় নাম প্রকাশ না কারার শর্তে একাধিক ব্যক্তিরা বলেন জুয়েল পাকা নেশাখোর এলাকার কিছু শিক্ষক ও নিরহ মানুষকে ফুসলিয়ে হিলিতে নিয়ে ফেন্সিডিল খাওয়াই আমাদের এলাকায় নেশাখোর বলেই আমরা জুয়েলকে চিনি৷
ফেন্সি জুয়েল ডজন খানেক উঠতি বয়সে যুবকদের নিয়ে গড়ে তুলেছে হট লাইন বাংলা হিলি এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে মাদক সিন্ডিকেট নিযুক্ত থাকায় হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মরণ নেশা ইয়াবা, ফেন্সিডিল, মদ-গাজা সহ নেশা জাতীয় দ্রব্য।
যদিও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করেন অধ্যক্ষ সায়ফুল ইসলাম এরকম লেন দেন সব জায়গায় হয় আপনি যান বড়তার সহ প্রায় স্কুল কলেজে হয়৷ জুয়েলের বিষয়টি যাচায় বাছায় করে দেখা হবে ওপেন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে অনেকেই আবেদন করবে৷
চাকরি প্রত্যাশি ফেন্সি জুয়েল৷ আর্থিক লেনদেন ও ফেন্সিডিল সেবনের বিষয় অস্বীকার করেন৷
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে সম্প্রতি বেশ কিছু বিদ্যালয়ে অনিয়মের অভিযোগে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে যার মধ্যে রয়েছে জেলার পাঁচবিবি শারিতা দাখিল মাদ্রাসা আটাপুর দাখিল মাদ্রা কালাই উপজেলার সমশিরা মাধ্যমিক বিদ্যলায় বিয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মামুদপুর দ্বি মুখি উচ্চ বিদ্যালয় বহুতি আলিম মাদ্রসা প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রধান শিক্ষক বা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে বর্তমানে প্রধান
শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অফিস সহকারী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তাপ্রহরী, আয়া, অফিস সহায়ক ও ল্যাব সহকারী পদের নিয়োগ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে হয়ে থাকে। যেখানে পাঁচজনের নিয়োগ বোর্ডে থাকেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন সদস্য, মাউশির মহাপরিচালকের প্রতিনিধি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। মাদ্রাসার ক্ষেত্রে মাউশির জায়গায় মাদ্রাসা অধিদপ্তরের একজন এবং কলেজের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকেন।
বিভিন্ন পরীক্ষায় ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এসব ক্ষেত্রে সাধারণত বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি যাঁদের চায়, তাঁরাই নিয়োগ পান। কারণ, বোর্ডে তাঁরাই তিনজন থাকেন। প্রশ্ন সবাই মিলে করলেও তাঁরা (ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য) কোনো প্রার্থীকে বিশেষ সুবিধা দিতে চাইলে তা ঠেকানো যায় না।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, জয়পুরহাট শাখার সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,
মাদকের প্রভাবে অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে। একটি প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এটা সমাজের জন্য বিষফোড়া। আগের তুলনায় গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল সবই বেশি ধরা পড়ছে। মাদক রুখতে সবার সহযোগিতা ও সচেতনতার বিকল্প নেই।
এ্যাড. রায়হান আলী জানান, সব অভিযোগই আসে শেষ মুহূর্তে। কিছু পরীক্ষা স্থগিত করা সম্ভব হয়। কিন্তু যতদিন এই নিয়োগ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হাতে থাকবে ততদিন এটা বন্ধ করা সম্ভব নয়৷