1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
মিরপুরে ফুটপাতের হকারদের কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ!
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি রাজশাহীতে গোপনে মৃত ব্যাক্তির জমি বিক্রয়ের অভিযোগ

মিরপুরে ফুটপাতের হকারদের কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ!

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩, ১০.১৮ পিএম
  • ১৬১ বার পঠিত

পর্ব-১

সরকার আব্দুল মাবুদ জীবন ও আলতাফ হোসেন অমি
চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রাজধানীর অন্যতম এলাকা মিরপুর-১নংসহ আসপাশের ফুটপাতের চারপাশে রোডের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে রাস্তার পাশের ফুটপাতে বসা হকারদের যেন ভোগান্তির শেষ নেই।বাদ পড়ছেন না বিভিন্ন মার্কেটে সামনে পজিশন নিয়ে বসা হকাররাও। চাঁদাবাজদের নামে থানায় অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেকের। শাহআলী থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আমিনুল ইসলাম পিপিএম যোগদানের পর থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা দিলেও নিউমার্কেট হয়ে জিমার্ট এর ফুটপাত বন্ধ অথচ বন্ধ করতে পারছেননা ও মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, বাগদাদ শপিং মার্কেট এর ফুটপাত। অপরদিকে দারুসসালাম থানার আওতাধীন এলাকায় ফুটপাত তোলা তো দুরের কথা থানা প্রসাশন ও পিআই এর কোন উদ্দোগই নেই বললে চলে।
অনুসন্ধানে যানা যায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রসাশনকে ম্যানেজ করেই চালিয়ে যাচ্ছে ক্যাপিটেল মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা হক মার্কেট,কো-অপারেটিভ মার্কেট,শমসেরে মার্কেট ও মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট এর সামনের ফুটপাতের ব্যাবসা, করছে চাঁদাবাজি। এসব চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন অসহায় ফুটপাতের হকাররা দারুসসালাম থানা এলাকায় চিহ্নিত চাঁদাবাজ ডেকেরেটর হারুন, রহিম,আকবর, মনির, ভাগিনা সেলিম,লিফট সেলিম সহ অনেকে এদের অনের ছবি সহ নিউজ হলেও নড়ছেনা টনক? এই দখল উচ্ছেদ না করা, বা উচ্ছেদ না হওয়ায় কারনে অনেক পরিবার কেহ কেহ সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে হরহামেশায়।তাই হকারকে দাবি,,,, কারো পৌষ মাস কারো সর্বমাশ”!
অপরদিকে ঈদগাহ মাঠের পুর্ব পাশে ফুটপাত দখল করে করছে বাজার, প্রতি দোকান থেকে নেওয়া হয় ২০০/২৫০ টাকা আনুমানিক প্রতিদিন ২০০/২৫০ দোকান বসে, সেখান থেকে দিনে ৬২ থেকে ৬৫ হাজার কালেশন করেন নুর হোসেন নুরু ও লাইনম্যান ইউনুস গংরা, যা মাস শেষে এমাউন্ট দাড়ায় ১৮৭৫০০০/ টাকা।এই টাকার মাসিক আকারে ভাগ হয় স্হানীয় কাউন্সিলরের নামে টাকা গ্রহন করেন রিপন মোল্লা এবং শাহআলী থানার কিছু অসাধু কর্মকর্তা, যা নুর হোসেন নুরুর মাধ্যমে ভাগ হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ- রবিউল প্লাজার দুইপাশে ফুটপাতের উপরে বসা হকারদের কাছে স্হায়ী দোকানের অগ্রীম এডভান্স ৮ /১০ লক্ষ.ও প্রতিদিন ১১ শত টাকা।
ভুক্তভোগীরা বলেন, টাকা দিয়ে ব্যাবসা করতে পারিনা আমরা, কিন্তু তারা কিভাবে ফুটপাতে বসে ব্যবসা করতে পারে! প্রশ্ন রেখে বলেন আমরা কি এদেশের মানুষ না, তাহলে আমরা যাবো কোথায়? একই দৃশ্য দারুসসালাম থানা এলাকার ক্যাপিটেল মার্কেট,মুক্তিযোদ্ধা হক মার্কেট কো অপারেটিভ মার্কেট,হয়ে ফুটপাতের টাকা চাদাবাজ রহিম দারুসসালাম থানা পুলিশকে দিতে দেখা যায় সাম্প্রতিক করেকটিছবি প্রতিবেদক এর হাতে পৌছছে।
এতো কড়া নির্দেশনার পরও কিভাবে চলছে ফুটপাত? উত্তরে একটি উত্তর আসে বার বার দারুসসালাম ও শাহআলী থানার কর্মকর্তাদের ও পিআইকে মেনেজ ছাড়া ফুটপাতে ব্যাবসা করা আসলেই সম্ভব না বলে মনে করছেন ফুটপাতের যাতায়াত কারী সাধারণ পথচারীরা। এই বিষয়ে দারুসসালাম জোনের পি আই জাহেদুল বকসী এর সঙে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন আমরা বার বার ব্যবস্হ নিলেও আমার একার পক্ষেসম্ভব হয়না এটা সংশ্লিষ্ট থানা সহ সবার দায়িত্ব।
অনুসন্ধানে যানা যায় ডজন খানেক চাঁদবাজ সক্রিয় সদস্য ফুটপাত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন। ক্যাপিটেল, মুক্তিযোদ্ধা হক প্লাজা ,ও কো অপোরাটিভ মার্কেট এর চাদা তুলেন চাদাবাজ আকবর, রহিম, হিরু, খলিল,ও জুলফিকার। শমশের মার্কেট ও সিটি কর্পোরেশন মার্কেট এর টাকা তুলেন ডেকেরেটর হান্নান, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট এর চাদা তুলেন লিফট সেলিম ও ভাগিনা সেলিম, বাগদাদ মার্কেট এর টাকা যায় যুব মহিলা লীগ নেতৃ পরিচয়ে দানকারী মনির কাছে চাঁদা তুলেন মনির,চান্দু কামাল,ও আল-আমিন । এলাকার নেতা ও তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাস্তানদের চাঁদা এবং পুলিশকে মাসোয়ারা দিয়েই ফুটপাতে বসতে হচ্ছে হকারদের। ওই চাঁদাবাজদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা নির্যাতন চালায় ভুক্তভোগীদের ওপরে।
ভুক্তভোগীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি কিছু উঠতি মাস্তানদের দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মাস্তানরা ২৫-৩০ জন কিশোরকে দলে ভিড়িয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করেছে। এরাই জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। আরো বিস্তারিত আসছে আগামী সংখ্যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews