নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন ওয়ার্লেস মোড় মুক্তিযোদ্ধা আবাসিক এলাকায় ধারকৃত টাকা নিয়ে দন্দে গৃহবধূ রাবেয়া মুন্নী মেরী সহ তার পরিবারের ৭-৮ জনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো সহ অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে ফাতেমা আক্তার বালী নামের এক মহিলা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী রাবেয়া মেরীর করা একটি মামলায় ফাতেমা আক্তার বালী গ্রেফতার হয়ে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়ে খবর ছাপিয়ে রাবেয়া মেরী ও তার পরিবারকে বারংবার হয়রানী করার চেস্টা করছে বলে অভিযোগ করেন রাবেয়া মেরী।তিনি আরো বলেন আমাকে গণমাধ্যম সহ বিভিন্ন মাধ্যমে হয়রানি, মিথ্যা খবর ছাঁপানো, আমার স্বামী সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের জড়িয়ে বিভ্রান্ত মুলক এসব কর্মকান্ডের জন্য অচিরেই আমি আইনানুগ ব্যাবস্থা নেবো।রাবেয়া আক্তার মেরীকে দেহ ব্যাবসায়ী বানানো সহ বিভিন্ন হুমকি দেওয়া ফাতেমা বালির একাধিক অডিও ক্লিপো এর মধ্যে অনুসন্ধানি টিমের হাতে এসে পৌঁছেছে।ঘটনার সূত্রপাত হয় এক বছর আগে রাবেয়া মেরীর
গৃহকর্মী কোহিনূর বেগম(৪০) চড়া সুদের বিনিময় চল্লিশ হাজার টাকা ধার নেয় সূমি বেগম থেকে।শর্তমতে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ৫৩ হাজার টাকা দিতে হবে।গৃহকর্মী কোহিনূর নির্দিষ্ট সময়ে সেটি পরিষোধও করেন।যার স্বাক্ষী ছিলেন কোহিনূরের গৃহকর্ত্রী রাবেয়া মুন্নি মেরী(৩২)।টাকা পরিশোধ করার পরেও সুমি বেগম গৃহকর্মী কোহিনূর থেকে অতিরিক্ত আরো টাকা দাবি করেন।যা দিতে কোহিনূর অস্বীকার জানালে তার উপর নির্যাতন শুরু করেন সুমি বেগম।নির্যাতনের খবর তার গৃহকর্ত্রী রাবেয়া মুন্নিকে জানালে তিনি এটির প্রতিবাদ করলে সুমি বেগম উল্টো তার বিরুদ্ধে গত ৪ই নভেম্বর খুলশি থানায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পাওনা দাবি করে একটি মামলা দায়ের করেন।মামলায় দেখানো স্ট্যাম্পটি ভূয়া এবং তাতে মুন্নি মেরীর স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।এছাড়াও ভুক্তভোগী রাবেয়া মেরী ( ৩২) আরো জানান গত ১০/২/২০২২ এ প্রতিবেশি ফাতেমা আক্তার বালীকে তিনি তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার দেন।কিন্তু ধারকৃত টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি উল্টো রাবেয়া মেরীর বিরুদ্ধে স্ট্যাম্পে জাল সাক্ষর নিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ দেন থানায়।
এরি ধারাবাহিকতায় গত ৪ নভেম্বর বিকালে প্রথমে রাবেয়া মেরীর পরিবারের উপর হামলা চালায় ফাতেমা আক্তার বালীর পরিবার, বিকাল ৪ টা থেকে শুরু করে উক্ত ঘটনা প্রায় তিন চার ঘন্টা ধরে চলতে থাকে এক সময় দাংগা পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রন করে। উক্ত হামলায় রাবেয়া মুন্নির পরিবারের ৮ জন সদস্য আহত হয়ে মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে হয়।এতে রাবেয়া মেরীর মাতা মনোয়ারা বেগম (৬৫), কুলসুম আক্তার (২১) অন্তসত্তা অবস্থ্যায় গুরুতর আহত হয়ে প্রায় চার থেকে পাঁচদিন মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে হয়।তিনি আরো
অভিযোগ করেন সেদিন ৪ নভেম্বর খুলশি থানার এসআই নুর আলম রাবেয়া মেরীর ভাই
মোঃ এমরানকে থানায় ধরে নিয়ে যায়। পরে রাত ১২ টায় ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেয়। পুরো হামলায় পুলিশের সামনেই সুদ ব্যবসায়ী ফাতেমা আকতার বালি ও তার গুন্ডা বাহিনী রাবেয়া মুন্নী মেরী ও তার স্বামী কামাল হোসেনসহ পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলা করে বলে জানায় ভুক্তভোগী । ঘটনার স্থানীয় লোকজন মোবাইলে ভিডিওতে ধারন করেন বলেও জানা গেছে। ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে থানা পুলিশের সামনেই মেরি ও তার পরিবারের উপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়।এরি প্রেক্ষিতে রাবেয়া মুন্নী মেরি খুলশি থানায় অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ মামলা নেয় বলেও জানান তিনি। তবে পুরো ব্যাপারটি জানাজানি হলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র ফাতেমা আকতার বালিকে বাদী করে মেরী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কয়েকটি একাধিক পাল্টা মামলা করেন বলেও জানান তিনি।মেরী আরো জানান, সুদ ব্যবসায়ী ফাতেমা আক্তার বালি একজন প্রভাবশালী সুদের ব্যবসায়ী। তার অত্যাচারে, এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। কেউ সুদের টাকা না দিলে তাকে আটক করে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। কেউ প্রতিবাদ করলে মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। এরই মধ্যে এক মাসে প্রায় তিনটি মামলা তাদের বিভিন্ন জনকে বাদী করিয়ে একটি জিডি করেছেন। উক্ত মামলাগুলি পিবিআই ও থানা পুলিশ তদন্ত করছেন। মেরী আরও বলেন, আমরা নিরীহ মানুষ, অযথা আমাদের উপর বালি প্রভাব বিস্তার করে একজন প্রভাবশালী কাউন্সিলের সহযোগিতায় আমাদের কে হয়রানি করে আসছে আমি ন্যায় বিচার চাই। জানাগেছে, ফাতেমা আক্তার বালি খুলশী থানা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে “সুদের ব্যবসা করে আসছে। প্রতি হাজারে দ্বিগুন টাকা শুধ গ্রহণ করেন । কেউ সুদের টাকা দিতে না পারলেই তার উপর চলে অত্যাচার নির্যাতন । এ বিষয়ে ফাতেমা আকতার বালির মোবাইল নাম্বারে বারবার ফোন করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে খুলশী থানার এস আই নুরুল আলমকে ফোন করলে তিনি থানায় এসে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ করতে বলেন। খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।