মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা দেশের ন্যায় নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হলেও উপজেলার আমাইড় ইউনিয়নের দক্ষিণ আড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা পেরিয়ে গেলেও আসেনি কোন শিক্ষক, উত্তোলন হয়নি জাতীয় পতাকা, খোলা হয়নি বিদ্যালয়ের গেট।
যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ১৭ মার্চ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে মর্মে গত ১২ই মার্চ মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।
সরেজমিনে উপজেলার আমাইড় ইউনিয়নের ৭৫নং দক্ষিণ আড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের বাহিরে কিছু ছাত্র-ছাত্রী বসে আছে। ঘড়িতে সময় সকাল ১০টা। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বলে, এখনো কেউ আসেনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বাসা নওগাঁতে আসতে দেরি করেন। আর বিদ্যালয়ে পিওন না থাকায় সকল কাজ ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে করানোর অভিযোগও রয়েছে।
সকাল ১০টা ১৫মিনিটে গ্রামের স্থানীয় একজন ব্যক্তি চাবি নিয়ে বিদ্যালয় খুলতে আসে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, আমি এই স্কুলের কেউ নয়। শিক্ষকদের আসতে দেরী হবে তাই আমাকে চাবি দিয়ে গেছে এবং স্কুল খুলে পতাকা তুলতে বলেছে।
এ ব্যাপারে ৭৫নং দক্ষিণ আড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হায়াত মোঃ মোজাহারুল ইসলামের সাথে বেলা সাড়ে ৪টায় মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমি মিষ্টি নিতে বদলগাছীতে গিয়েছিলাম। পতাকা তুলতে ভূলে গিয়েছিলাম। তাহলে ওই সময় স্কুলের সকল তালা বন্ধসহ ছাত্র-ছাত্রীরা বাহিরে দাঁড়িয়ে ছিল কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন স্কুলে আসেন সাক্ষাতে কথা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোখলেসুর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রুমানা আফরোজ বলেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।