সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশে এই সংকটের চার মাসে তথাকথিত এসব নেতাকর্মীরা যেন কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছেন। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, তাদের নিজেদেরই কোনো খোঁজ-খবর নেই। হঠাৎ করেই যেন তারা উধাও হয়ে গেছেন। ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ঢাকা মহানগর বিএনপিসহ প্রত্যেকটি অঙ্গসংগঠনই আজ নিষ্ক্রিয়। করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিন দফা দলীয় কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। যেটা বড় একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের কাছে একেবারেই কাম্য নয়।
সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার সময় বিএনপির প্রতি জনগণের একটা বড় প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু জনগণের আস্থা অর্জনে আজ দলটি পুরোপুরি ব্যর্থ। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে বিএনপি কোনো ভূমিকাই পালন করতে পারেনি। শুধুমাত্র সরকারের সমালোচনা ও ভুল-ত্রুটি ধরতেই মশগুল থেকেছে দলটি।
তারা বলেন, বাংলাদেশের এক সময়ের অন্যতম বৃহত্তম দল বিএনপি। করোনার শুরু থেকেই বিএনপি সরকারের সব কার্যক্রমের সমালোচনা করে আসছে। কোথায় কি ভুল হলো তা নিয়ে ব্যস্ত তারা। কিন্তু এই সংকটে জনগণের জন্য তারা কি করেছে? এমন প্রশ্নে কোনো উত্তর পাওয়া যাবে না!
তারা মনে করেন, এ দলের চেয়ারপার্সনসহ প্রায় সিনিয়র সব নেতারাই হোম কোয়ারেন্টাইনে। শুধুমাত্র দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে লোক দেখানো কিছু ত্রাণ সহায়তা দিতে দেখা গেছে। এছাড়া বাকি সবাই নিষ্ক্রিয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি’র সিনিয়র ও দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, বিএনপিতে এমন অনেক নেতা আছেন যাদের জনসমর্থন থাকুক বা না থাকুক, কথার ফুলঝুরি দিয়ে সব সময় আলোচনায় থাকতে চান।
তিনি বলেন, সাংগঠনিক দক্ষতা নেই, চালানোর ক্ষমতা নেই, ক্রান্তিকালে দলের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না এমন অনেক নেতারাই আজ কর্মীদের কাছ থেকে নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত।
কন্ঠে হতাশার সুর নিয়ে এই নেতা আরো জানান, সরকারকে দায় দিয়ে কি হবে? জাতির এই সংকটের সময় আমরা কতটুকু ভূমিকা পালন করতে পেরেছি? একটা বড় দল হিসেবে আমরা কতটুকু সফল? সরকারের সমালোচনা না করে নিজেদের অবস্থানটা জনগণের সামনে তুলে ধরাই উত্তম।