নিরঞ্জন মিত্র নিরু, ফরিদপুর
সারাদেশের ন্যায় ফরিদপুরে পহেলা বৈশাখ বাংলা শুভ নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপন করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে,(১৪ এপ্রিল) শুক্রবার সকাল ৯ টায় জেলা প্রশাসকের চত্তর থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রাটি শিশু একাডেমীর সামনে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য মাথার মুকুট, মুখোশ ও পালকি ইত্যাদিসহ উপস্থিতি মানুষকে মনে করিয়ে দেয়।
এসময় মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মোঃ ইশতিয়াক আরিফ, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ লিটন আলী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিপুল চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইয়াছিন কবীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী, সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
শোভাযাত্রা শেষে সকাল সাড়ে ৯ টায় জেলা শিশু একাডেমিতে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এরআগে সকাল সাড়ে ৮ টায় শহরের স্বাধীনতা চত্ত্বরে ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ উপলক্ষে
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বর্ষবরণ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ এর সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মোঃ ইশতিয়াক আরিফ, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস। রাসিন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আসমা আক্তার মুক্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা।
আলোচনা শেষে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
এসময় ফরিদপুরের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলা নববর্ষ উদযাপনের মাধ্যমে একটি অসাম্প্রদায়িক, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ও সংস্কৃতি মনা বুদ্ধিবৃত্তিক জাতি গঠনের অঙ্গীকার ব্যাক্ত করেন। তারা অতিতের সমস্ত প্রকার গ্লানি ও জরাজীর্ণতাকে পেছনে ফেলে শুভ ও মঙ্গলময় আগামীর প্রত্যাশা করেন।