নিজস্ব প্রতিবেদক
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এই ঈদ-উল-ফিতরে সবার অঙ্গীকার হলো ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে সবার মুখে হাসি ফোটানো। তিনি সামর্থ্যবানদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান ।
এরিসাথে রাষ্ট্রপতি বিশ্বের বিত্তশালী ও সামর্থ্যবান ব্যক্তিবর্গকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার (২২ এপ্রিল) সকালে ঈদের নামাজ আদায়ের পর বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানানোর সময় রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্র প্রধান বলেন, ‘দেশের বিত্তশালী ও সামর্থ্যবানদেরকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
ইসলামের মহান শিক্ষাকে ধারণ করে মানবসেবায় নিজেদের নিয়োজিত করার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের মুখে হাসি ফোটাতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপ্রধান ধনী-গরিব নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব বিরাজ করছে।
তিনি বলেন ‘বাংলাদেশও এই ক্ষতিকর প্রভাবের বাইরে নয়। এমতাবস্থায় বিত্তশালীদেরকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে হবে।’
বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষবারের মতো জনগণের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
কারণ, তিনি আগামী ২৪ এপ্রিল সকাল ১১টায় নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিনের কাছে তাঁর কার্যালয়ের দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন এক শপথ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।
মুসলমানদের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি তাঁর সহধর্মিণী রাশিদা খানমসহ পরিবারের সদস্যরা আজ সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বস্তরের জনসাধারণের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, এমপি এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে ছিলেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী,মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, বিচারক, সিনিয়র রাজনীতিবিদ, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, বিদেশি কূটনীতিক এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।