নানিয়ারচর (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির নানিয়ারচরে দলীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী কর্তৃক উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৮ মে) সন্ধ্যায় বুড়িঘাট ইউনিয়নের ৮নং টিলা এলাকার স্থানীয় নুর হোসেনের চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় দলীয় অঙ্গ সংগঠনের ১০-১৫জন নেতাকর্মীর অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহা হাওলাদার।
এসময় বুড়িঘাট ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম হোসেন এবং ফারুক হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি আহতের কথা ও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব জানান, দলীয় কোন্দলের কারণে আমার উপর এভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এবিষয়ে আমি দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের হাত থেকে কামনা করছি।
জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা কাইয়ুম হোসেন জানান, সন্ধ্যার পরে আমরা চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলাম। এসময়ে যুবলীগ কর্মী নুর জামাল, উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম সম্পাদক শাহীন, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মহিদুল, উপজেলা যুবলীগ সদস্য শহিবুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রুবেল মৃধা, বগাছড়ি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হাফিজ, ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি হাফিজুল ইসলাম এবং শাকিল, শাহ আলম, আবু জাফর সহ বেশ কিছু নেতাকর্মী এই হামলা চালায়।
এবিষয়ে চায়ের দোকান মালিক নুর হোসেন মুঠোফোনে প্রতিবেদক কে জানায়, আব্দুল ওহাব তার দোকানে বসেছিলেন। এমতাবস্থায় বেশ কয়েকজন লোক এসে তাদের মারধর শুরু করে। তাদের মারধরের এক পর্যায়ে আমার চায়ের দোকানের ক্ষয়ক্ষতি ও হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে ফোন কলে যোগাযোগ করা হলে নুরুজ্জামান, শাহিন, মহিদুল ও শহিবুলের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তারা সকলেই জানান, এবিষয়ে আমি কিছু জানি না। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। এছাড়াও এবিষয়ে জানতে উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রুবেল মৃধাকে ফোন করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে বগাছড়ি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হাফিজ জানায়, সম্প্রতি নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাবের নামে কিছু চ্যানেল ও গণমাধ্যমে তার কিছু দুর্নীতির সংবাদ প্রচার হয়েছে। আমি জেনেছি এই বিষয়টি নিয়ে আব্দুল ওহাব বেশ কিছু দলীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে আইসিটি আইনে মামলা করেছে। দলের ছেলেরা হয়ত এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটাতে পারে।
এবিষয়ে নানিয়ারচর থানার ওসি সুজন হালদার জানান, ঘটনাটি সম্পর্কে আমি জেনেছি। আমাদের ফোর্স ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তবে এখনো এই বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ বা মামলা হয়নি।