নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানার দক্ষিণ পতেঙ্গা এলাকায় আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় জায়গা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভূমিদুস্যু ও চাঁদাবাজ মুসা।
জানা যায়, চট্টগ্রামের দক্ষিণ পতেঙ্গা এলাকার একটি জায়গা নিয়ে ৩য় যুগ্ম জজ আদালত চট্টগ্রামে ১৫/২০২১এবং ২০/২০২৩ মামলা চলমান অবস্থায় আছে। জায়গাটির আর এস মূলে পাওয়ার প্রাপ্ত মো: ফজল গং এর অভিযোগ একসময়ের পতেঙ্গা এলাকার শীর্ষ চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে অপকর্মের মূল হোতা মুসা ও তার সহযোগীরা তাদের নামে আরএস মূল্যে পাওয়ার প্রাপ্ত জয়টির বিরুদ্ধে মাললা চলমান অবস্থায় দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তাদের আরো অভিযোগ, হঠাৎ একি এলাকার মো:আলী আকবর, ইমতিয়াজ আকবর ও ফারিয়া আকবর রিয়া নামে সাইনবোড টাঙ্গিয়ে দেন জায়গাটিতে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জোরপূর্বক জায়গা দখলে মরিয়া হয়ে ওঠা ভূমিদস্যু মুসা আদালতে নিষেধ থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে জায়গাটি দখলের পাঁয়তারা করছে। বিভিন্ন সময়ে হুমকিসহ নানা রকম হেনস্তা করেছেন মুসা জায়টির আর এস মূল পাওয়ার প্রাপ্তদের উপর।
ভুক্তভোগী মোরশেদ জানান, জায়গাটি দখলে নিতে আমাদেরকে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন ভাবে হুমকি সহ নানা রকম হেনস্তা করেছেন মুসা।
স্থানীয় ওয়াহিদুল আলম প্রকাশ ওয়াহিদ মাস্টার বলেন, জায়গাটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান তাই জায়গাটি কোনরূপ কার্যক্রম না চালানোর জন্য আমি মুসাকে ফোনে বলি। মুসা কথা কঘ্যর্য করে জায়গায় কাজ চলমান রেখেছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, মুসাকে বারবার বারণ করার সত্বেও দলবেঁধে সেই জোরপূর্বক জায়গা দখলে মরিয়া হয়ে উঠে । তার নামে পতেঙ্গা থানায় রয়েছে একাধিক মামলা। সে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে।
উল্লেখ ক্রয় সূত্রে মালিক সাইনবোর্ড দারী মো:আলী আকবর এর সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করলে তিনি মুসাকে নিজের লোক দাবী করেন। তাছাড়াও তিনি ফজল গং এর দেওয়ি সাইনবোর্ডটা ভুয়া ভাবে দেওয়া বলে দাবী করেন। তার আরো দাবী তিনি বিএস মূল্য কিনেছেন। আদালতে মামলার কারনে জায়গায় সাইনবোর্ড দিতে নিষেধ করার সত্বেও জোরপূর্বক জায়গা দখলে কেন মরিয়া সেটা ঠিক আমি জানি না।
এবিষয়ে মুসার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মুঠোফোনে জানান, জায়গার বিষয়ে আপনারা আলী আকবরের সাথে যোগাযোগ করেন । আমার লোকজন নিয়ে আমি আলী আকবরের অনুমতিতে জায়গাটিতে সাইনবোর্ড দিয়েছি। আদালতের কাজ আদালতে করবে। আমার কাজ আমি করছি এই বলে মোবাইল কেটে দিলেন।
এ বিষয়ে চসিক ৪১ ওর্য়াড কাউন্সিলর ছালে আহমেদ চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করলে তার ছেলে ওয়াহেদ চৌধুরী জানান, জায়গাটি বিরোধের বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে উভয় পক্ষে অভিযোগ করলে আমরা তাদের বিষয়টি নিয়ে বসার কথা বলি এবং জায়গাটিতে সাইনবোর্ড না লাগানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করি। পরবর্তীতে মুসা গংরা আমার কথা অমান্য করে জায়গাটি সাইনবোর্ড লাগান।
স্থানীয়রা আরো জানান, মুসা দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন ভাবে অপকর্ম মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন জায়গায় দখলে মরিয়া। সন্ত্রাসী টেন্ডার বাজি চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত। এলাকার জনমনে প্রশ্ন চাঁদাবাজ ভূমিদুস্যু মুসার খুঁটির জোর কোথায়।
এ বিষয়ে চসিক ৪১ ওর্য়াড কাউন্সিলর ছালে আহমেদ চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করলে তার ছেলে ওয়াহেদ চৌধুরী জানান, জায়গাটি বিরোধের বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে উভয় পক্ষে অভিযোগ করলে আমরা তাদের বিষয়টি নিয়ে বসার কথা বলি এবং জায়গাটিতে সাইনবোর্ড না লাগানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করি। পরবর্তীতে মুসা গংরা আমার কথা অমান্য করে জায়গাটি সাইনবোর্ড লাগান।
উল্লেখ্য মুসা পতেঙ্গা এলেকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু ও বহু মামলার আসামি। একসময় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত নানা অপকর্মের মূল হোতা।