সৌমেন সরকার
সারাদেশে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা শহরের চেয়ে চট্টগ্রামে বেশি বরাদ্দ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাতে নগরীর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে জেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায় তিনি এ কথা জানান।মন্ত্রী বলেন, আশাতীতভাবে অনেক কিছু বঙ্গবন্ধু কন্যা করেছেন। কিন্তু এটির সুফল জনগণকে পেতে হবে। জনগণ সুফল পেতে হলে যে কোনো কাজ সুচারুভাবে করতে হয়। জনগণের বিরক্তির উদ্রেক যাতে না হয় সেভাবে সময়মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করতে হয়। তা না হলে অর্থ ও সময়ের অপচয় হয় এবং জনগণের দুর্ভোগ হয়।চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনসহ সব উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল যেন জনগণ পায় সেজন্য সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, গত সপ্তাহের প্রচণ্ড বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম শহরের প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। মানুষের দুর্ভোগ হয়েছে। এটি নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে বাদানুবাদও হয়েছে। এটি আসলে আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য যখন এই প্রকল্প নেওয়া হয় এবং টাকাগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়, তখন ডলারের মূল্যমানে তার পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। এখনো ১১ হাজার কোটি টাকা, ওয়ান বিলিয়ন ডলারের সমান। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য এতবড় অর্থ বরাদ্দ ঢাকা শহরের জন্যও দেওয়া হয়নি। কিন্তু নগরবাসী এখনো সেটির সুফল পাওয়া শুরু করেনি। গতবারের বর্ষা এবং এবারের বর্ষায় যে পরিমাণ জলাবদ্ধতা হয়েছে নগরবাসীর মধ্যে কিছুটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সংস্থা যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে, সেখানে সমন্বয় করার জন্য আমরা বেশ কয়েকবার বসেছি। বসার পর কিছুটা সমন্বয় হয়েছে, কিন্তু আরও সমন্বয়ের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), সিটি করপোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ডেরও প্রকল্প আছে। এতবড় প্রকল্প, এত মূল্যমানের প্রকল্প, এর জন্য ভবিষ্যতে তো আবার এই পরিমাণ টাকা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হবে না। কেন আমরা সুফল পাচ্ছি না, কোথায় সমস্যা, কোথায় সমন্বয়ের অভাব সেগুলো আলোচনা করার জন্যই আমরা সবাই মিলে এখানে বসেছি।খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।