মোঃ মনিরুল ইসলাম রিয়াদ
মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ শহিদুল্লাহ’কে দীর্ঘ ১০ বছর পর চট্টগ্রাম মহানগরীর চাঁদগাও এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
আসামী মোঃ শহিদুল্লাহ (৫০) ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন কাজিরবাগ এলাকার বাসিন্দা। সে উক্ত এলাকায় মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০১৩ সালের ০৪ এপ্রিল রাতে ফেনী সদরের গিল্লাবাড়িয়া সীমান্ত এলাকা হতে মাদক সংগ্রহকালে ২১ বোতল ফেন্সিডিলসহ বিজিবি কর্তৃক গ্রেফতার হন। পরবর্তীতে বিজিবি’র টহল কমান্ডার বাদী হয়ে মোঃ শহিদুল্লাহ (৫০)’কে আসামী করে ফেনী মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১০(০৪)২০১৩, ধারা- ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯(১) এর ৩(খ)। মামলা রুজুর ০৬ মাস পর আসামী জামিনে বের হয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় আদালতে হাজিরা না দেওয়ার আসামীর অনুপস্থিতে বিজ্ঞ আদালত পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন এবং ০৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বর্ণিত মামলায় একমাত্র আসামী মোঃ শহিদুল্লাহ’কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত আসামী আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মনামে চট্টগ্রাম মহানগরীর চাঁদগাও থানাধীন কালুরঘাট ইস্পাহানী এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ১৩ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখে বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ শহিদুল্লাহ (৫০), পিতা- মৃত আব্দুল বারেক, সাং- গিল্লাবাড়ীয়া, থানা ও জেলা- ফেনী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং ০৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে