নিরেন দাস,বিশেষ প্রতিনিধি:
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১১টা অস্ত্র তারা অনলাইনে বুকিং করেছে, তার ছবি আমরা পেয়েছি। ১১টি অস্ত্রই কাদের কাছ থেকে তারা সংগ্রহ করেছে, তাদের নামও আমরা জেনেছি। সেগুলো কোথায় এবং কি কাজে তারা ব্যবহার করবে, সেগুলো আমরা জেনেছি তবে তা আমরা এখনই বলছি না।
সামনে নির্বাচন সামনে রেখে কি সহিংসতার উদ্দেশে রয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি তো পরিষ্কার। নির্বাচনের অল্প কিছুদিন বাকি, এখন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। এ সময়ে ছাত্রদলের গ্রেফতার নেতারা ১১টি অস্ত্র সংগ্রহ করলেন বোমা সংগ্রহ করলেন, মোবাইল ফোনে কথোপকথনে সেগুলো কোথায় ব্যবহার করবে সেটিও বললেন। নিজেদের মধ্যে অস্ত্রগুলো বণ্টন, এটি কিসের আলামত?
আলামত যাই হোক না কেন, আমরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে, অবৈধ অস্ত্রধারীরা যারাই হোক না কেন, তারা যে দলই করুক না কেন প্রত্যেককে আইনগত প্রক্রিয়ায় গ্রেফতার করা হবে। তাদের রিমান্ডে এনে তাদের গডফাদারদের আমরা খুঁজে বের করবো ও আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
পুলিশকে দুর্বল মনে করে যদি ঢাকা শহরে কোনো অস্ত্র ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ঢাকা শহরে ঘুরে বেড়াবে, আর ডিবি বসে থাকবে এটি হতে পারে না। আইনগত প্রক্রিয়া আমাদের যা যা করা দরকার আমরা তাই করবো।
পুলিশ কর্মকর্তা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন-অর-রশিদ বলেন, আর কেউ যদি অস্ত্র ব্যবসায়ীকে ধরার পরে পুলিশকে হুমকি দেয়, তাদের মনে রাখা উচিত, কারো হুমকিতে ডিবি পুলিশ ভয় পায় না। আমরা যাদের নাম পেয়েছি তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।