তৈহিদ আহমদ রেজা
আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি আপাদমস্তক গুনী এক ব্যক্তিত্ব। যিনি পৈত্রিক বৃত্তের বৈভবের কাছে ঘা এলিয়ে না নিয়ে পিতার মত জনগনের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন সর্বদা। তার সেবার প্রথম পথচলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে। এরই ধারাবাহিকতায় জনগনের অকুন্ঠ আস্থা , ভালোবাসা ও হৃদয় জয় করে পরবর্তীতে নির্বাচিত হন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে।
পরবর্তীতে ধারাবাহিক ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে সংসদ সদস্য। পরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে।
২০১৯ সালে পুনরায় আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।
আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহমেদ রাজনীতির সাথে সাথে ব্যক্তিত্বে ও নানা গুনে গুনানিত। ব্যক্তি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহমেদ জীবনের এই বাঁকে এসে সব জায়গায় সফল ও উজ্জ্বল এক প্রতিছবি।
তিনি সব জায়গায় সফলতার ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে বিশ্বনেত্রী, মানবতার মা, দেশনেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্হাভাজন হয়ে দেশ, জাতি ও এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহমেদ রাজনীতি, সমাজ সেবার পাশাপাশি শৈশব থেকে পৈত্রিক শতকোটি টাকার ব্যবসা দেখাশুনা করে আসছেন। বয়স যখন ১৮/১৯ তখন থেকেই বাবার ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
যুবক বয়সে এত টাকা ও ব্যবসায়িক অবস্থানের পরেও কখনো পথ হারাননি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি।
শৈশব থেকে আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি বাবার দেওয়া শিক্ষা অনুযায়ী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। ফজরের নামাজ পর পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করা তার অজন্ম ধ্যান ও জ্ঞান।
আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির সম্পদের প্রতি কখনো লিপসা ছিল না। পৈত্রিক ভাবে বৃত্তের সাথে বেড়ে উঠলেও লোভ থাকে ঘ্রাস করেনি। তার লোভ থাকলে আজকের বসুন্ধারা গ্রুপ, যমুনা গ্রুপের মত বা তার থেকেও ভাল কিছু করতে পারতেন তিনি। অনেকে হয়ত ভাবছেন কিভাবে? বসুন্ধারা গ্রুপ, যমুনা গ্রুপ ও অন্যন্যা গ্রুপ বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর সৃষ্টি হয়েছিল আর নুরুজ্জামান আহমেদের পিতা সাবেক সংসদ আলহাজ করিম উদ্দীন আহমেদ দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে শতকোটি টাকার ব্যবসা করতেন।
আলহাজ করিম উদ্দীন আহমেদের দেওয়া জমিতে বিশাল বিশাল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, এতিমখানা, উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স, কালীগঞ্জ থানা, টেলিফোন অফিস, পোস্ট অফিসসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।যে সম্পগুলোর বর্তমান বাজার মুল্য কয়েক শত কোটি টাকা।
টাকার দিকে কখন না তাকিয়ে আলহাজ করিম উদ্দীন আহমেদ আমৃত্যু এলাকার ও দেশের কথা ভাবতেন। এলাকার মানুষের মঙ্গলের জন্য অকাতরে বিলিয়ে দিতেন নিজের সম্পদ।
পিতার আদর্শে বেড়ে উঠছেন আজকের সফল মাননীয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি। পিতার মত লোভ কখন তাকে স্পর্শ করতে পারেননি। এজন্য মহান সৃষ্টিকর্তা তাকে সম্মনিত করেছেন, ভবিষ্যতে সম্মানিত হবেন ইনশাল্লাহ ।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মহোদয় প্রায় বলেন, বিশ্বাস করে হেরে যেতে চাই, প্রতারণা করে বিজয়ী হতে চাই না। এই নীতিকে বুকে ধারন করে এলাকায় সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা নিয়ে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্নেহ, ভালবাসা নিয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে কাজ করছেন।