- মোঃআসাদুজ্জামান নুর/গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কালীগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) উপর হামলার ঘটনায় মোক্তারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনকে প্রধান আসামি করে আওয়ামীলীগের ১৫ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার রাতে আনসার সদস্য আকরাম হোসেন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে শহীদ মোঃ ময়েজউদ্দিনের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মোক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপজেলা চত্বরে একত্রিত হয়। এসময় তাদের যানবাহন পার্কিং নিয়ে ইউএনও’র নিরাপত্তাকর্মীদের সাথে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রুপ নেয়। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি চালক রুবেল হোসেন, আনসার সদস্য মো. আকরাম ও রেজোয়ান, বিআরডিবি অফিসের কর্মচারী লিটন আহমেদ, প্রকৌশলী অফিসের কর্মচারী রাসেল মিয়া ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের প্রোগ্রামার উজ্জ্বল কুমার শীল আহত হন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত তাঁকেও আক্রমনের চেষ্টা করা হয়। পরে বিবাদীগণ উপজেলা ভবন লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ে জানালার গøাস ভেঙ্গে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় মোক্তারপুর ইউপি চেয়ারম্যন, আওয়ামীলীগের ১৫ জন নেতাকর্মী এবং অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়, যার নং ০২। আসামিরা হলেন, মোক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম আলমগীর হোসেন (৪৮), আওয়ামীলীগ নেতা জাকির হোসেন (৪৭), আকরাম হোসেন (৪৮), সিদ্দিকুর রহমান (৪৩), মো. কাজল (৩৪), মো. কামাল হোসেন ফরাজী, মো. হেকিম মম্বার, ফয়সাল ফকির (৪৫), মো. কালাম, জাহাঙ্গীর মেম্বার, রুবেল পালোয়ান (৩২), মনির (৩৮), জাহিদুল (২৮), সিরাজ (৪৫), অজ্ঞাত, পিতা সবুজ মেম্বার, সিরাজ (৪৫)।
এ ঘটনায় মোক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী বাড়ী ছাড়া এবং এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে মোক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম আলমগীর হোসেন জানান, শনিবার দুপুরে উপজেলা চত্বরে পাবলিক ডুকলে ইউএনও তাদেরকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এতে পাবলিক উত্তেজিত হয়ে পড়লে আমি ইউএনওকে নিয়ে তার অফিস রুমে চলে যাই। পরে নীচে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফায়েজুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় পর শনিবার রাতেই আনসার সদস্য আকরাম হোসেন বাদি হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আমরা রাতেই আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছি। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অভিযান অব্যহত রয়েছে।