মা ইলিশ রক্ষায় সমুদ্রে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় কর্মহীন হয়ে পড়াছে পাথরঘাটার জেলেরা।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) থেকে ২ নভেম্বর এই ২২ দিন সময়ে ইলিশ ধরা, পরিবহন, বাজারজাত ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। তাই ১১ নভেম্বর মধ্য রাতের মধ্যে হাজারো ট্রলার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এসে নোঙ্গর করে অলস সময় কাটাচ্ছে জেলেরা।
উপকূলে জেলেরা সমুদ্রের মাছের উপর নির্ভরশীল, ইলিশ মাছ বিক্রির টাকা তাদের এক মাত্র আয়ের উৎস। বরগুনার পাথরঘাটায় জেলের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। এই সকল জেলারা ২২ দিনের জন্য কর্মহীন হয়ে পড়েছে। পাথরঘাটায় সরকারি নিবন্ধিত ১১ হাজার ৮৮ জন জেলে। অবরোধের ২২ দিনের জন্য ১১ হাজার ৮৮ জন জেলে সরকারি সহায়তা পায় ২৫ কেজি চাল । বর্তমান সময় বাজার মূল্যের কাছে ২২ দিনের জন্য এই ২৫ কেজি চাল অতি তুচ্ছ। তাই পাথরঘাটার জেলেপাড়ায় জেলেদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ও হতাশা বিরাজ করছে। তাই ২২ দিনের জন্য নতুন কর্মসংস্থান খুঁজছে পাথরঘাটার জেলেরা।
জেলে কবির খান বলেন, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে আমরা ২৫ কেজি চাল পেয়ে থাকি। এই ২৫ কেজি চাল দিয়ে সংসার চলে না এর সাথে আমাদের আর্থিক সহায়তা দরকার। সরকারের কাছে আমাদের দাবি আর্থিক সহায়তা দিতে হবে না হলে বিকল্প কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় উপকূলের জেলেরা শতভাগ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত।
এ সময় তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান , নিষেধাজ্ঞার সময়ে যেন ভারতের ট্রলার বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার না করে, সেদিকে খেয়াল রাখার সহ জেলেদের ২২ দিনের জন্য বিকল্প কোন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেয়ার দাবি জানায়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, সাগর ও নদীতে এই ২২ দিন কোনো জেলেকে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম সফল করতে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।
এই ২২ দিনের জন্য ১১হাজার ৮৮ জন জেলেকে সরকারিভাবে ২৫ কেজি করে চাল সহায়তা দেয়া হচ্ছে। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কমপক্ষে ১ থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের আওতায় আনা হবে।