একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর সর্বশেষ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও হেরেছে বিএনপি। প্রতিটি নির্বাচনেই হারার পর নানা অভিযোগ তোলে দলটি। তবে এখন অনেকেই বলছেন, নির্বাচনে বিএনপির ব্যর্থতার মূলে রয়েছে তাদের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত।
বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, বারবার নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য দলের মধ্যে কি ধরনের দুর্বলতা রয়েছে বা কোথায় কোথায় ব্যর্থতা রয়েছে, তা চিহ্নিত করে সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা মনে করেন, দল হিসেবে বিএনপির সাংগঠনিক ব্যর্থতা রয়েছে। এছাড়া ভোটারদের উজ্জীবিত করতে না পারার কারণেই মূলত বারবার নির্বাচনে হেরে যাচ্ছে দলটি।
তারা মনে করেন, ভোটাররা বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। বিভিন্ন সময়ে বিএনপির ভোটের বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, জাতীয় নির্বাচনে দলটি গড়ে প্রায় ৩২ থেকে ৪২ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পেয়েছে। আর সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি মাত্র ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির নিজস্ব যে ভোট ব্যাংক আছে, সেই পরিমাণ ভোট দলটি এখন আর পাচ্ছে না। এর পেছনে বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতাই মূলত দায়ী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, নিশ্চিত পরাজয় জেনেও বিএনপি এসব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি করার জন্য। এরপর তারা নিজেরাই ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার জন্য সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তারা এটা প্রমাণ করতে চান যে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে জনগণের সমর্থন নেই। পরে তাদের সে তৎপরতা ভুল প্রমাণিত হয়।