1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
বাগেরহাটের ফকিরহাটে লতিরাজ কচু চাষে কৃষকের সাফল্য
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি রাজশাহীতে গোপনে মৃত ব্যাক্তির জমি বিক্রয়ের অভিযোগ

বাগেরহাটের ফকিরহাটে লতিরাজ কচু চাষে কৃষকের সাফল্য

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩, ৭.৫৯ পিএম
  • ১০৭ বার পঠিত
  • এস এম সাইফুল ইসলাম কবির. বাগেরহাট:

বাগেরহাটের ফকিরহাটে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ সবজি লতিরাজ কচু চাষ করে সাফল্য পেয়েছে উপজেলার পিলজংগ গ্রামের কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম।

কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ও পরামর্শে তিনি লতিরাজ কচু চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ হন। এরপর তিনি কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষন গ্রহন করার পর তাকে ২০ শতক জমি একটি প্রদর্শনী প্রদান করা হয়। তিনি সেই প্রদর্শনীর জমি সম্প্রসারণ করে ৩০ শতক জমিতে লতিরাজ কচু চাষ করেন। তার জমির লতিরাজ কচু বিক্রয়রে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তিনি চাষাবাদের জমি বৃদ্ধি করেছেন। এছাড়া এর মাধ্যমে তিনি পুর্বের ঋণের টাকাও পরিশোধ করেন। বর্তমানে দরিদ্র এই কৃষক সচ্ছলভাবে সংসার পরিচালনা করছেন। তার এই সাফল্য দেখে এলাকার অনেক কৃষক লতিরাজ কচু চাষে আগ্রহ হয়েছেন।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার মন্ডল ও তানিয়া রহমান জানান, বর্তমানের উপজেলার ফকিরহাট সদর, বেতাগা, পিলজংগ, বাহিরদিয়া-মানসা সহ বিভিন্ন এলাকায় এই কচু চাষ করছেন অনেক কৃষক। তারা আরো জানান, কৃষকরা কচু চারা রোপণের প্রায় এক মাস থেকে দেড়মাস পর ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কচুর লতি বিক্রি শুরু করেন। কচুর লতি বিক্রি পাশাপাশি কচুর চারা বিক্রি করে অনেক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। অন্যান্য ফসলের উৎপাদন খরচের চেয়ে লতিরাজ কচুতে অল্প পুঁজিতে ভালো লাভ পাওয়া যায় বলে জানান।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ফকিরহাট উপজেলায় প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক-কৃষাণীরা উন্নত জাতের মুখী কচু, পানি কচু ও লতিরাজ কচু চাষের আওতায় এসেছেন। প্রশিক্ষণ নিয়ে এসব কৃষকরা কচু চাষে সাফল্য পেয়েছেন। কম সময়ে ভালো ফলন, কম খরচ ও বেশি লাভ হওয়ার কারনে এ ফসলটি চাষে লাভবান হয়েছেন লতিরাজ কচু চাষীরা।

ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদেরকে লতিরাজ কচু চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। লতিরাজ কচুর ভালো ফলন ও বাজারের চাহিদার কারণে অনেক কৃষক চাষ শুরু করেছেন। কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ জাতের কচু চাষ করছেন। আয়রণ সমৃদ্ধ এ সবজির লতি, পাতা এবং কচু কোনটাই অপচয় হয় না। লতিরাজ কচু অনেকের কাছে প্রিয় সবজি। কচুপাতা শাক হিসেবে বিক্রি ও জৈব সার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। অনেকে কম্পোস্ট সার তৈরিতে ব্যবহার করছেন কচুপাতা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews