কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে এই চলতে রুপা আমন মসুমী ধান পানির নিচে পচে শেষ।
অধিকাংশ কৃষক দেনা বা ধার নিয়ে রুপা আমন ধান জমিতে রোপন করেন।
বিগত কয়েকদিন আগে ভারী বর্ষণে এই রোপা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়।
অপরিকল্পভাবে আশঙ্কা জনক হার পুকুর
খননের ফলে খাল বিল,ও জল ধারা গুলো ক্রমান্বয়ে ভরাট হয়ে বেড়েছে জলাবদ্ধতা।
পানি নিষ্কাশনে সুব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এসব কারণে এ বছর পানির নিচেই ডুবে রইলো অনেক কৃষকে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন। হোসেনপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে ৮ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়।
এ বছর সরকারি অনুদনি সহ অনুকুল আবহাওয়া থাকায় ধানের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
কিন্তু বারি বর্ষণে ১৬হাজার কৃষকের ১৭শো হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেলেও পরবর্তীতে ১৪ হেক্টর জমির ধান একেবারেই পঁচে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
সৌর জমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পুমদী ও আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ জমির ধানক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
ধনকুড়া গ্রামের কৃষক হাসান আলী ৫০ শতক জমিতে ৩০ হাজার টাকা দেনা নিয়ে ধান চাষ করেন। পানিতে ওই জমির ধান ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। হাসান আলী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,
ধানের উপর ৩০ হাজার টাকা সুদেদেনা নিয়ে ধান চাষ করেছিলাম। কিন্তু এখন ধানক্ষেত পানিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন ওই টাকা পরিশোধ করার কোন রাস্তা আমার কাছে নেই। তাই পরিবার-পরিজন সহ অনাহারে কাটাতে হবে দিন।
একই গ্রামের বিল্লাল মিয়া জানান ৩২ শতক জমির জন্য আত্মীয়র বাড়ি থেকে ২০ হাজার টাকা ধার এনেছিলাম।
ওই টাকা দিয়ে ধান চাষ করেছিলাম।
এখন কোথায় থেকে দেবো ওই টাকা সময় মত টাকা না দিতে পারলে আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে।
ডাহরা গ্রামের কৃষক মফিজ উদ্দিন জানান ঋণ করে 25 কাঠা জমি করে এখন মাঠে বসে গেছি আমার সব শেষ হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একে এম শাহজাহান কবির বলেন, মূলত যত্রতত্র পুকুর খননের ফলে জলাবদ্ধতায় কবলে পড়ে পানিতে ডুবে গেল কৃষকের ১৪শো হেক্টর জমির ধান। পানি প্রবাহের এসব বাধা মুক্ত করা না গেলে আগামীতেও এমন বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।