কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বাস পোড়ানোর তিনটি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনুপস্থিত থাকায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ফের পিছিয়েছে। এ নিয়ে তিনবার শুনানি পেছানো হল।
সোমবার কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি পেছান বলে জানান আসামি পক্ষের আইনজীবী কাজী নাজমুস সাদাত ও কাইমুল হক রিংকু।
আইনজীবী কাজী নাজমুস সাদাত বলেন,সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে আদালতের নির্দেশে সরকারের হেফাজতে আছে। তাই তাকে উপস্থিত করার দায়িত্ব সরকারের। এ ছাড়া তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আদালতে আবেদন করেছি, যেহেতু খালেদা জিয়া অসুস্থতাসহ নানান কারণে অনুপস্থিত, তাই যেন অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানো হয়। আমাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। তবে আমাদেরকে পরবর্তী তারিখ তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনুপস্থিত থাকায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছিল আদালত। এ নিয়ে তিনবার অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী নাজমুস সাদাত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হরতাল-অবরোধ চলাকালে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আইকন পরিবহনে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় আটজন নিহত হন।
এ ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি বিকালে ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০ থেকে ৮০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার। মামলায় ৭৮ জনকে আসামি করে ২০১৭ সালের ২ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন এসআই মো. ইব্রাহিম।
ওই মামলার প্রধান আসামি জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। একই মামলার ৫১ নম্বর আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
এ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মৃত এম কে আনোয়ার, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও সালাউদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, কুমিল্লার বিএনপি নেতা মনিরুল হক চৌধুরীকেও আসামি করা হয়।
একই ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলাও একই শুনানিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অপরদিকে ২০১৫ সালে চৌদ্দগ্রামের হায়দারপুলে কাভার্ডভ্যান পোড়ানোর ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরও একটি মামলার শুনানি একই সঙ্গে আদালতে অনুষ্ঠিত হয়।