দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৭ সাল থেকে কম্পিউটারকে শিক্ষার উপকরণ হিসেবে দেখছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল শিক্ষা পদ্ধতি প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির চেয়ে সহজ ও আনন্দদায়ক হওয়ায় শিশুদের মনন ও মেধা বিকাশে এটি কার্যকর ও ফলপ্রসূ একটি পদ্ধতি।
শনিবার রাতে ডিজিটাল প্লাটফর্মে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার, সারা বাংলা নামের ফেসবুক গ্রুপের সাথে ‘আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যত’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার এমপি এবং বিজয় ডিজিটাল’র প্রধান নির্বাহী জেসমিন জুই।
এসময় মন্ত্রী বলেন, দক্ষ জাতি গঠনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার জন্য যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন।
শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে ১৯৯৯ সাল থেকে তার অর্জিত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা এক বছরের পাঠ্যক্রম দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে সক্ষম। তিনি এই ক্ষেত্রে দু’টি চ্যালেঞ্জ’র কথা উল্লেখ করে বলেন, ডিভাইস এবং ডিজিটাল কনটেন্ট শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের অন্তরায়। ২০০৯ সাল থেকে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করতে তিনি সক্ষম হয়েছেন।
পঞ্চম শ্রেণির কনটেন্ট তৈরির কাজ চলছে উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বিজয় ডিজিটালের তৈরি এই কনটেন্টগুলো শিক্ষার্থীরা অনলাইন থেকে বিনা টাকায় ডাউনলোড করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে করোনাকালে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাচ্চাদেরকে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে তাদেরকে উৎসাহিত করা উচিৎ বলেও তিনি মনে করেন। মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটের ভাল দিকটাই দেখতে হবে। খারাপ দিকটা বর্জন করতে হবে।
ইন্টারনেট নিরাপদ রাখতে সরকার এরইমধ্যে ২৬ হাজার সাইট বন্ধ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ রাখতে সম্ভাব্য সব কিছু করতে বদ্ধপরিকর সরকার।