দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনোয়ারা-কর্ণফুলী উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন চট্টগ্রাম-১৩ এ নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে শক্তিশালী কোন স্বতন্ত্র কিংবা বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলেও নিবন্ধিত ৭ রাজনৈতিক দলের প্রার্থী রয়েছে এখানে।
টানা চতুর্থ বারের মত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেছেন এ আসনটির বর্তমান সাংসদ ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। সার্বিক বিবেচনায় অসীম ক্ষমতাধর এই প্রাথীর সমকক্ষ না হলেও তাঁর সাথে নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকছেন জাতীয় পার্টি, ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামীক ফ্রন্ট, তৃণমূল বিএনপি, খেলাফত আন্দোলন এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি(বিএসপি) মনোনীত আরও ৬ প্রার্থী।
সারা দেশের ন্যায় এখানেও প্রার্থীরা প্রতিদিনই কোন না কোন অনানুষ্ঠানিক জনসংযোগ-প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন।
কোন উপলক্ষ ছাড়াই আচার অনুষ্ঠান এমনকি ঘরোয়া বৈঠকে এক ধরেণের প্রচারণা চালিয়েছেন তাঁরা।
আজ থেকে উন্মোচিত হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচারনা দ্বার। কোন কোন জায়গায় শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের মার্কা সম্বলিত পোস্টার ও ব্যানার।
মঙ্গলবার(১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে কর্ণফুলী উপজেলার এ জে চৌধুরী কলেজ মাঠে এবং সন্ধ্যায় আনোয়ারার কাফকো সেন্টারে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারনায় নামছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত(নৌকা) প্রার্থী ও এই আসনের বর্তমান সাংসদ সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
এ ছাড়াও আনোয়ারায় গণসংযোগের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারনা শুরু করবেন আসনটিতে ইসলামীক ফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী(চেয়ার প্রতীক) স.ম.হামেদ হোসাইন।
ইসলামী ফ্রন্ট(মোমবাতি প্রতীক) মনোনীত প্রার্থী মাষ্টার আবুল হোসেন শুরু করবেন কর্ণফুলীতে গণসংযোগ।
তৃণমূল বিএনপি( সোনালী আঁশ প্রতীক) মনোনীত প্রার্থী মকবুল আহম্মদ চৌধুরী শাদাত আনোয়ারায় গণসংযোগের মাধ্যমে শুরু করবেন আনুষ্ঠানিক প্রচারনা।
প্রায় সাড়ে তিন লাখ ভোটারের এই আসনে আওয়ামী লীগের রয়েছে শক্তিশালী এবং সুসংগঠিত কর্মী বাহিনী ও হাজার হাজার সমর্থক।
পক্ষান্তরে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য দলগুলোর কিছু সংখ্যক কর্মী সমর্থক থাকলেও সংখ্যায় তা একেবারেই গৌন।
ফলে নির্বাচনী দৌঁড়ে নৌকার ধারে কাছেও যেতে পারবেনা বাকী দলের প্রার্থীরা।
এমনটাই মনে করেন এ আসনের অধিকাংশ সাধারণ ভোটার।