কুমিল্লায় জেলায় মাদক, ছিনতাই ও চোরাচালান ঠেকাতে মাঠে কাজ করছে ডিবি পুলিশ। এছাড়া হত্যা মামলাসহ গত ১১ মাসে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। এই ধারাবাহিকতায় গত ১১ মাস পর্যন্ত শতাধিক মামলায় ৪৬৭ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ মাদক, জালনোট, ডলার,ভারত থেকে আসা চোরাই পথে শাড়ি-থ্রিপিস এবং আরও অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়।
সম্প্রতি কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা ডিবির রাজেশ বড়ুয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা ডিবি সূত্রে জানা যায়- ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ডিবি পুলিশের দায়ের করা মাদক মামলার আসামি ২৮২ জন, অস্ত্র মামলায় ২১ জন, ডাকাত দলের সদস্য ২৪, চোর ৩৯ জন ও অন্যান্য মামলায় ১০১ জনসহ মোট ৪৬৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় ৮ জন ভিকটিমকেও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে চৌকস ডিবির অভিযানিক দল।
এ ছাড়া জব্দ করা করা হয়, দেশি-বিদেশি অগ্নেয়াস্ত্র ১৫টি, পিস্তলের গুলি ৫৮টি, ম্যাগজিন ৫টি, ইয়াবা ট্যাবলেট ৪৭ হাজার ৩৮১ পিস, ট্যাপেন্ডাটোল ট্যাবলেট ২৮ হাজার ৫৬০ পিস, গাঁজা ২ হাজার ৩৪০ কেজি, ফেনসিডিল ৩ হাজার ৩৬৫ বোতল, বিদেশি মদ ৫১৮ বোতল ও ইস্কাফ সিরাপ ৩৬২ বোতল।
উদ্ধার করা হয়, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত গাড়ি ৫০টি, চোরাই মোটর গাড়ি ৭০টি। আর চোরাচালান হিসেবে জব্দ করা হয়েছে— নগদ ১ কোটি ১৬ লাখ ৫০০ টাকা, স্বর্ণ ১০ ভরি ২ আনা, ইউএস ডলার ৫ হাজার ১১০ ডলার, জালনোট ১ লাখ টাকার, সরকারি বৈদ্যুতিক তার ২০০ কেজি ও দেশি প্রজাতির কাছিম ১৬টি। এছাড়াও বিভিন্ন থানা এলাকায় ডাকাতি, চুরি ও খুন মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ বড়ুয়া বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলার সাধারণ মানুষের জানমাল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ডিবি পুলিশ। ভবিষ্যতে যেকোনো প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ডিবি পুলিশ আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ডিবির এমন কর্মকাণ্ড আগামীতেও চলমান থাকবে।