কুড়িগ্রামের ৪টি সংসদীয় আসনে বেসরকারিভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলাফলে কুড়িগ্রামে দুটি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক ও দুটি আসনের একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও অপরটিতে জাপা প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
রোববার ০৭ জানুয়ারি রাতে কুড়িগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইদুল আরীফ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া যায়।
কুড়িগ্রাম- ১ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৮৮,০২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আব্দুল হাই সরকার। তিনি পেয়েছেন ৫৯,৭৫৬ ভোট।
এদিকে কুড়িগ্রাম ২ আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে ১,০২,১২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন ডাঃ মো. হামিদুল হক খন্দকার তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মো. পনির উদ্দিন আহমেদ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬,৯৪৮ ভোট।
অপরদিকে কুড়িগ্রাম-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে (গবা পান্ডে) নৌকা প্রতিক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৫৩৩৬৭টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাঃ মোঃ আক্কাস আলী সরকার ট্রাক প্রতিকে পেয়েছেন ৩৫,৫১৫ ভোট।
কুড়িগ্রাম ৪ আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. বিপ্লব হাসান পলাশ। তিনি নৌকা প্রতীকে মোট ভোট পেয়েছেন ৮৬,৬৫৮। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি স্বতন্ত্র প্রার্থী ওয়ার্কাস পার্টি মোঃ মুজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীকে পেয়েছে ১২,৬৮৪ ভোট।
উল্লেখ্য তিনি দুপুরের পর অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন।
কুড়িগ্রাম জেলার ৪টি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৭ লাখ ৮২ হাজার ৩২ জন। জেলায় ৭০২টি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সম্পুর্ন করা হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইদুল আরীফ জানান, জেলায় কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা ছাড়ায় সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন শেষ হয়েছে। এসময় কুড়িগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিরলসভাবে কাজ করেছেন সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ মোট ১১ হাজার সদস্য।
এছাড়া বিজিবি ৪০৬ জন, আনসার বাহিনী ৮ হাজার, মোবাইল টিমে ৮৪ জন, ম্যাজিস্ট্রেট ৩০ জন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১০ জন।