মমিন আজাদ,নীলফামারী, ৯ এপ্রিল॥ সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আক্তার জাহান বেবির অনৈতীক ও স্বৈরাতান্ত্রিক কর্মকান্ড বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় শহরের শহীদ ডা: জিকরুল হক সড়কে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছে পৌর কাউন্সিলর ও ভিজিডি কার্ড বঞ্চিত দুস্থ্য পৌরনাগরিকরা।
বক্তারা বলেন, পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে পৌর সভার অসহায় দুস্থ্যদের মধ্যে ৪৬.২১০ টন চাল ১০ কেজি করে ৪ হাজার ৬ শত ২১ জন বিতরণ করা হবে। এ লক্ষ্যে পৌরসভার ২০ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় পৌর মেয়র রাফিকা আক্তার জাহান স্বৈরাতান্ত্রিক ভাবে প্রতি কাউন্সিলরকে দুস্থ্য মাত্র ১০০ জনের জন্য কাড বরাদ্দের ঘোষনা দেন। অথচ পুর্বে প্রতি কাউন্সিলর দেড়গুণ কাড বিতরণ করত। এতে দুস্থ্যরা ঈদে কয়েকদিন খেতে পারত। এখন আমরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তার অনৈতিক কর্মকান্ড ও লুন্ঠনের প্রতিবাদ করায় দুই হাজার একশত দুস্থ্য মানুষকে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তাই কোন ভাবেই এটা মেনে নেওয়া হবে না। কাউন্সিলর জোবায়দুর রহমান শাহিন বলেন, এই মেয়র দুর্ণিতী গ্রস্থ্য। নৈতীক স্খলন ও সিমাহীন আর্থিক অনিয়মে পৌরসভাবে জরাজির্ণ করেছে। কাউন্সিলর আফরোজা ইয়াসমিন বলেন, আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী সেনা কর্মকর্তার মেয়ে। বন্দী ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানে। যুদ্ধ শেষে দুই বছর পর বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে দেশে ফিরে আসেন। গৃহিনী ও সমাজ সেবা মুলক কাজ করে নির্বাচিত হয়েছি। তাই অন্যায়ের প্রতিবাদ করা শিরায় মিশে আছে। তাই প্রতিবাদ করেই যাব। মেয়রের অন্যায় কর্মকান্ড সকলেই জানে। তার অশ্লিল ও অনিয়মের কর্মকান্ড ঢাকতে প্রচার করছেন ভিন্ন কোন দলের এটি ষড়যন্ত্র। কাউন্সিলর জাহানারা বেগম বলেন, সৈয়দপুর উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আমি। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে সমাজে কাজ করায় দীর্ঘ ৩০ বছর জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করছি। কোন ভাবেই এই মেয়রের অবৈধ কর্মকান্ড মানা হবে না। অব্যহত আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে উৎখাত করা হবে। প্যানেল মেয়র শাহিন হোসন বলেন, এই মেয়রের অশ্লিল ভিডিও প্রচারে বিশ্বের কাছে এই শহরটি বির্তকিত ও ঘৃনার শহরে পরিণত হয়েছে। তাই কোন ভাবেই তার স্বৈরাতান্ত্রিক কর্মকান্ড গ্রাহ্য করা হবে না।
এ নিয়ে পৌর মেয়র রাফিকা আক্তার জাহানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।