মোহাম্মদ জুবায়ের, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের রাউজানে বড় ভাইয়ের হাতে আপন ছোট ভাই খুন হয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খানপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, গত এক বছর ধরে বড় ভাই সোনা মিয়ার সঙ্গে নিহত সোহাগের একটি মামলা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বুধবার ওই মামলায় আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
ওই দিন বিকেলে আদালত থেকে আসার পর সোনা মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র দা-ছুরি নিয়ে সোহাগের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে সোনা মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে সোহাগকে আঘাত করতে শুরু করেন। এতে রক্তাক্ত অবস্থায় সোহাগকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাত ৯টার দিকে মারা যান সোহাগ।
ঘটনার পর থেকেই সোনা মিয়া পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জানে আলম বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে মামলা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে বড় ভাই ছোট ভাইকে হত্যা করেছে।
তিনি জানান, এই ঘটনায় দুই পরিবারের প্রায় সাত-আটজন আহত হয়েছেন।
আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পাহাড়তলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রোকন উদ্দিন বলেন, মামলার একটি বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বড় ভাই সোনা মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে ছোট ভাই সোহাগকে খুন করেন। ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ছোট ভাইকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো বলেন, বড় ভাইয়ের কাছে যেখানে ছোট ভাই নিরাপদ থাকবে, সেখানে আপন বড় ভাই সামান্য বিষয় নিয়ে তার ছোট ভাইকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে।
ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে। নিহত সোহাগের ২ ছেলে ১ মেয়ে রয়েছে।
খবর পেয়ে চুয়েট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক এসআই জয়নাল আবেদীন ঘটনাস্থল থেকে সোনা মিয়ার স্ত্রী, মেয়ে ও পুত্রবধূকে আটক করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সার্কেল অফিসার হুমায়ূন কবির ও রাউজান থানার ওসি জাহেদ হোসেন।
জানতে চাইলে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদ হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেননি। কেউ বাদী হয়ে মামলা দিলে তা গ্রহণ করা হবে।