মোহাম্মদ জুবায়ের :
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর চারটি ওয়ার্ড যথাক্রমে ৭ নং পশ্চিম ষোলশহর, ৮ নং শুলকবহর, ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী এবং ১৪ নং লালখানবাজার ওয়ার্ডে পাহাড়ধসের কারণে সৃষ্ট ক্ষতির প্রভাব কমিয়ে আনতে জিএফএফও, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ইপসা Child centred anticipatory action for better preparedness of communities and local institution in Northern area in Bangladesh ” in Banshkhali upazila and Chattogram city corporation. প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে কাজ করবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, কমিউনিটি ভলান্টিয়ার, চাইল্ড এন্ড ইয়ূথ গ্রুপ, রিসোর্স পুল সহ বিভিন্ন গ্রুপ কে Early warning system সহ নানাবিধ প্রশিক্ষণ প্রদান, কমিউনিটি পর্যায়ে ভয়েস ম্যাসেজ প্রদান, সচেতনতামূলক সভা/ ক্যাম্পেইন, শর্তবিহীন ও শর্তযুক্ত নগদ অর্থ প্রদান, রেইন গেজ, সয়েল ময়েস্চোর সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিভাইস প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রদান করা হবে। ২৭ মে-২০২৪ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সভাকক্ষে উল্লেখিত প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। প্রকল্প অবহিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইপসা ‘র পরিচালক (সমাজ উন্নয়ন) মিসেস নাছিম বানু, প্রকল্পের প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেন ‘র অফিসার (এন্টিসিপেটোরি এ্যাকশন) আবু তৈয়ব, প্যানেল আলোচক ও অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য করেন চসিক সচিব জনাব আশরাফ আমিন, প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী, চসিক কাউন্সিলর ও দুর্যোগে ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ৪১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালেহ আহম্মদ চৌধুরী, ১৪ নং লালখানবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল, কাউন্সিলর আব্দুস সালাম মাসুম, চসিক ত্তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফারহাদুল আলম, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সোসাইটির উপপরিচালক দীনমনি শর্মা, উপ সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, চুয়েট নগর পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক শিক্ষক শাহজালাল মিশুক, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাদিকা সুলতানা, প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন ইপসার প্রজেক্ট অফিসার আতাউল হাকিম।
প্রধান অতিথি শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন চট্টগ্রাম দুর্যোগপূর্ণ এলাকা, বিশেষত পাহাড়ধসের জন্য ঝুঁকি অত্যন্ত প্রবন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত, বিগত কয়েক বছরে পাহাড়ধসের ঘটনায় অনেক মানুষের প্রাণহানী ঘটে সেই অর্থে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের সচেতনতায় জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন এর রুটিন মাইকিং এবং অতিবৃষ্টিতে জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা খুব একটা কার্যক্রম চোখে পড়েনি। এন্টিসিপেটরি একশন ‘র ধারণাটিও বেশ অভিনব এছাড়াও টেকনিক্যাল ডিভাইস এর মাধ্যমে পূর্ব সংকেত পাওয়ার বিষয়টি নিঃসন্দেহে চমৎকার সংযোজন। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা আনয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে, একইসাথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।