মুহাম্মদ জুবাইর
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকায় বাসায় ডেকে নিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফয়েজুল ইসলামকে বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা একজন গার্মেন্টসকর্মী। প্রতিদিনের মতোই সকালবেলা চলে যান তার কর্ম ক্ষেত্রে । ঘরে ছিলো তার পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে। পাশাপাশি ঘরেই থাকতো তার শিক্ষক ফয়েজুল ইসলাম (৪৬)। এ সুযোগে ছাত্রীকে পড়ার নাম করে ডেকে নেন তিনি। করেন জোরপূর্বক ধর্ষণ। ধর্ষণের পর চুপচাপ ছাত্রী ঘরে চলে আসে,পরে ছাত্রীর মা গার্মেন্টস থেকে ছুটির পর ঘরে আসলে বিষয়টি তার মাকে জানায় ফাতিমা তাৎক্ষণিক বাইজিদ বোস্তামী থানা পুলিশের আশ্রয় নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন, পরে ছাত্রীর মায়ের করা মামলায় পুলিশ ধর্ষণকারীকে গ্রেপ্তার করে।
পরবর্তীতে আইমানুক ব্যবস্থা করে বয়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ ধর্ষককে আদালতে নিলে রবিবার (৯ জুন) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গ্রেপ্তার ওই শিক্ষককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার ফয়েজুল ইসলাম চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রাম নগরের শেরশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীর মা গার্মেন্টসকর্মী। প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালেও তিনি তার মেয়েকে বাসায় রেখে কারখানায় চলে যান। তাদের বাসার পাশেই বাসা শিক্ষক ফয়েজুল ইসলামের। সে তার কাছে প্রাইভেট পড়তো। শনিবার প্রাইভেট বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নেন শিক্ষক ফয়েজুল। এরপর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে কর্মস্থল থেকে আসলে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে পুরো বিষয় খুলে বললে তার মা বাদী হয়ে ওই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন।
এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় কুমার সিনহা গণমাধ্যমকে
বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর মায়ের করা ধর্ষণের মামলায় শিক্ষক ফয়েজুল ইসলামকে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়৷ রবিবার আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।’ ভুক্তভোগী ছাত্রী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি রয়েছে বলেও জানান ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা।