ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
দশ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও পাষাণ স্ত্রীর হাত থেকে তিন মাসেও ফিরে পাননি এক বছরের পুত্র সন্তানকে বাবা।
শ্বশুর শ্বাশুড়ির প্রত্যক্ষ পরোক্ষ মদদে এক বছর পূর্বে সাংবাদিক দ্বীন ইসলাম দম্পতির একমাত্র পুত্র সন্তানকে পিতার কাজ থেকে ঘুম করে স্ত্রী। বেপরোয়া স্ত্রীর হাত থেকে সন্তানকে ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে গত তিন মাসে কোন সান্ত্বনা পাননি সাংবাদিক বাবা। উল্টৌ শশুর শ্বাশুড়ির মদদে পাষাণ স্ত্রী সাংবাদিক দ্বীন ইসলামের কাছ থেকে আদায় করেছেন দশ লক্ষ টাকা এরপরেও ফিরে পাননি নিজ পুত্রকে। পুত্রকে ফিরে পেতে সাংবাদিক দ্বীন ইসলামের কান্নায় ভারী হচ্ছে বাতাস।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলার সাংবাদিক দ্বীন ইসলাম এবং কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার তাসলিমা আক্তার রুমার একটি সুসম্পর্কের কল্যাণে দুই বছর পূর্বে বিয়ে হয়।
বিয়ের পরবর্তী সাংসারিক ঝামেলার রেশ ধরে বেড়িয়ে আসে তাসলিমা আক্তার রুমার থলের বিড়াল।
ঘটনাচক্রে জানা যায় দ্বীন ইসলামের পূর্বেও তাসলিমার ৪ টি বিয়ে হয়, এছাড়াও পরকীয়া সহ যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করার ও খবর পায় তার স্বামী দ্বিন ইসলাম।
এসকল তর্ক বিতর্ক থেকেই হঠাৎ করে তাসলিমা এক বছরের বাচ্চা সহ ঘরে থাকা মূল্যবান মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
শত চেষ্টা করেও তাসলিমার সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে শোকে কাতর হয়ে পরে দ্বিন ইসলাম, এবং এক বছরের বাচ্চাকে ফিরে পেতে মানসিক ভাবে ভেঙে পরেন তিনি।
তবে হঠাৎ করেই মুখোশ উন্মোচন করেন তাসলিমা, মা, মেয়ে খালা ও তার ভাই মিলে একটি চক্র সাজিয়ে ফোনকলে যোগাযোগ করেন দ্বিন ইসলামের সাথে।
বাচ্চাকে তার নিজ পিতার নিকট ফিরিয়ে দিতে চায় তারা, তবে বিনিময়ে গুনতে হবে ১০ লক্ষাধিক টাকা। পরবর্তীতে সাংবাদিক দ্বীন ইসলাম স্ত্রীকে ১০ লাখ টাকা দিলেও গত তিন মাসে ফিরে পাননি বচ্চাকছ।
নবজাতক বাচ্চাকে ফিরে পেতে প্রসাশনের নিকট সাহায্য চেয়ে আহাজারি করেও কোন সুফল পাননি দ্বিন ইসলা ।
এদিকে, দ্রুত বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে নিজ পিতার হেফাজতে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রশাসন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে প্রতি আহ্বান জানান সাংবাদিক দ্বীন ইসলাম।