1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
আঙিনার কাদো এ্যালাও শুকায় নাই,ফির পানি বাড়িত উঠপের নাগছে-কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে মানুষ
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি রাজশাহীতে গোপনে মৃত ব্যাক্তির জমি বিক্রয়ের অভিযোগ

আঙিনার কাদো এ্যালাও শুকায় নাই,ফির পানি বাড়িত উঠপের নাগছে-কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে মানুষ

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০, ১.৩২ পিএম
  • ২১২ বার পঠিত
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপূত্রসহ সবকটি নদ-নদীর পানি আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দ্বিতীয়দফা বন্যার কবলে পরেছে এই জনপদের মানুষ। ধরলা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ৭ ও তিস্তা নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৮ ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে এসব নদীও রাতে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের নীচু চরগুলো আবারো তলিয়ে যাচ্ছে। চর পার্ব্বতীপুরের ছকমল ও তহিজল জানান, দুদিন হয় ফিরেছি। বাড়িঘর ঠিকঠাক করে একটু স্বস্থি নেবো তারও উপায় নেই। আবারো পানি বাড়ন্ত। পরিবার নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে।
পৌরসভা এলাকার চর ভেলাকোপার মহিতুল, আর্জিনা ও মিয়াজন বিবি জানান, কেবলমাত্র ঘরদুয়ার ঠিকঠাক করছি। আঙিনার কাদো এ্যালওাও শুকায় নাই। ফির পানি বাড়িত পানি উঠপের নাগছে। কন তো এ্যালা কী করি।
এমন দুর্ভোগ ছড়িয়ে পরছে ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপূত্র নদনদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চল এলাকায়। টানা ১২দিনের প্রথম দফা বন্যার রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দ্বিতীয় দফা বন্যার আগমনে আশংকা আর আতংক বিরাজ করছে এসকল মানুষের মধ্যে। যে সকল কৃষক জেগে ওঠা পাট কাটার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন তারাও পরেছে বিপাকে। সবজি মাঠেই ধ্বংস হয়ে গেছে। পানি নেমে গেলে যারা দ্বিতীয়বার আমন বীজতলা করার পরিকল্পনা করছিলেন তারাও হতাশ। পানি বাড়ার ফলে নদ-নদী সংলগ্ন এবং চরাঞ্চলে প্লাবিত এলাকার মানুষজন আবার নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরো দুটি ভারি বৃষ্টিপাত বয়ে যাবে এ অঞ্চলের উপর দিয়ে। ফলে দু’একদিনের মধ্যে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে আবারো বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা নিয়ে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান উপস্থিত ছিলেন। ইতিমধ্যে আমরা বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। সভায় জেলা ও সকল উপজেলার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে প্রস্তুত করে রেখেছি। বন্যায় যখন যা প্রয়োজনীয়তা দেখা দিবে তাই করা হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews