সামির ইসলাম মোহন, চট্টগ্রাম
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের পরিবহন খাত ও মাদক কারবারিদের সম্রাজ্যে দখল বেদখলের নানা চিত্র ভেসে উঠলেও চট্টগ্রামের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের পরিবহন সেক্টর ও মাদক কারবারীদের সম্রাজ দখলের মতো ঘটনা ঘটেনি। পরিবহন শ্রমিক, চালক ও স্থানীয়দের দাবি, চরম নৈরাজ্যের অবসান হয়েছে। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও চট্টগ্রােমে চাঁদাবাজি আর মাদক কারবার চলছেই।
চট্টগ্রামের পরিবহন সেক্টর ও মাদক কারবার নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্বে থাকছে চট্টগ্রামের পরিবহন সেক্টর ও আকবরশাহ থানা সিডিএ ১ নম্বর থেকে বিশ্ব কলোনীর চাঁদাবাজি ও মাদক বাণিজ্যের সাতকাহন
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পালায়নের পর চট্টগ্রামের আওয়ামীপন্থি পরিবহন মালিক নেতাদের অনেকেই গা-ঢাকা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের পরিবহন সেক্টরে দখলের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা নানাভাবে চাঁদা আদায় করছেন। তবে নিয়ন্ত্রণ নিতে সংঘবদ্ধ হচ্ছেন বিএনপিপন্থিরা। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বলেন, আতঙ্ক থেকে পরিবহন মালিকদের কেউ কেউ আত্মগোপনে আছেন। আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা বলেন, অটো টেম্পো ও হিউম্যান হলার থেকে প্রতিদিন ৩০ টাকা নেওয়া হয়।
এদিকে চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানাধীন সিডিএ ১ নম্বর থেকে বিশ্ব কলোনী জুড়ে চাঁদাবাজি কোন রকম থামছে না। সরকার পরিবর্তনের পর অনেকটা আড়ালে থেকে আকবরশাহ থানার নাম ভাঙ্গিয়ে একটি চক্র চালকদের কাছ থেকে আদায় করছে চাঁদা। একিসাথে প্রশাসনকে মেনেজ করে আকবরশাহসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে চলছে রমরমা মাদক ব্যাবসা।
সূত্র বলছে , আকবরশাহ সিডিএ ১ নম্বর বিশ্ব কলোনীর পরিবহন ও মাদক
সিন্ডিকেটের মূল হোতা আকবরশাহ থানার সিনিয়র সোর্স মো.বাবলু(২৮) ও মাদক পাচারকারী মো. সাব্বির (২৯) )।
আকবরশাহসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি এলাকাজুড়ে রয়েছে তাদের চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট ও মাদক কারবারের সম্রজ্য।
অনুসন্ধনে জানা যায়, তারা প্রতিটি গ্রাম সিএনজির মাসিক মাসোয়ারা হিসেবে চাঁদা আদায় করছে ১হাজার পাঁচশত টাকা থেকে ২ হাজার টাকা এবং প্রতিটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা থেকে দৈনিক চাঁদা আদায় করে ৫০ টাকা প্রতি মাসে ১ হাজার পাঁচশত টাকা। সিন্ডিকেটের মূল হোতা মো. বাবলুর (২৮) বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক মামলা। প্রশাসনকে হাতে রেখে চালিয়ে গেছেন তাদের মাদক ও চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট।
সিএনজি চালক মো. বেলালের জানান, বর্তমানে চাঁদাবাজরা এলাকায় না থাকলেও মুঠোফোনে হুমকি দিয়ে দাবি করছেন চাঁদা। তাই নয়, চাঁদা দেওয়ার বিষয়ে কোন প্রশাসন কিংবা মিডিয়াতে খবর দিলে তাদের দেওয়া হয় জীবননাশের হুমকিও।
এ বিষয়ে আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রব্বানী জানান, চাঁদাবাজদের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।