নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার সিমরাইল এলাকায় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন রাসেল ও সাংবাদিক দ্বীন ইসলাম হামলার স্বীকার হয়েছেন।
৪ অক্টোবর (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার সিমরাইল মধ্য পড়াস্থ মৃত হেকিম মিয়ার ছেলে সার্ভেয়ার আনোয়ার হোসেনের অফিসে ৬ জীবিত ভাই বোনদের মৃত দেখিয়ে ভুয়া ওয়ারিশান সার্টিফিকেট সৃজন পূর্ব জমি বিক্রির বিষয়ে আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে আনোয়ার হোসেন ও তার ভাড়াটিয়া বাহিনীদের
হামলার স্বীকার হন শাহাদাত হোসাইন রাসেল ও দ্বীন ইসলাম।
হমলায় স্বীকার দুই সাংবাদিক এবিষয়ে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কসবা কসবা থানার একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, ৪ অক্টোবর (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬ টার ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ ও তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার সিমরাইলের সার্ভেয়ার আনোয়ার হোসেনের মোবাইলে পূর্বে সম্মতি নিয়ে তার সিমরাইল মধ্য পড়া পুরাতন বাজারস্থ সার্ভেয়ার আফিসে তথ্য সংগ্রহের জন্য শাহাদাত হোসাইন রাসেল ও দ্বীন ইসলাম যান। সাংবাদিকদ্বয় শুরুতে তাদের যাওয়ার কারণ জানান আনোয়ার হোসেনকে। সেই সময় আনোয়ার হোসেন সাবলীল ভাবে কথা বার্তা চালিয়ে চান সাংবাদিক দ্বয়ের সাথে। মিনিট দশেক পর আনোয়ার হোসেন মাগরিবের নামাজের কথা বলে বাহিরে যান। ২০ মিনিট পর আনোয়ার হোসেন ফিরে আসেন ১০ বা ১২ জন লোক নিয়ে। পরবর্তীতে পুনরায় ভুয়া ওয়ারিশান সার্টিফিকেটে জমি ক্রয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন আনোয়ার ও আশেপাশে থাকা লোকজন। একপর্যায়ে আনোয়ার ও আশেপাশে থাকা লোকজন সাংবাদিক শাহাদাত হোসাইন ও সাংবাদিক দ্বীন ইসলামের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করতে এগিয়ে আসেন ও অশ্লীল ভাষা প্রয়োগসহ নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। এইসময় তারা সাংবাদিক দ্বীন ইসলামের আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেন ও তার কাছে থাকা ভিডিও ক্যামেরা, এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসহ নানা যন্ত্রপাতি কেড়ে নেন। পরবর্তীতে সাংবাদিক শাহাদাত হোসাইন ও সাংবাদিক দ্বীন ইসলাম কোন রকম জীবন নিয়ে সেই স্থান ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য সাংবাদিক শাহাদাত হোসাইন ইতিপূর্বে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকাসহ স্যাটেলাইট চ্যানেলর গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছিলেন।
এদিকে সাংবাদিক শাহাদাত হোসাইন ও সাংবাদিক দ্বীন ইসলামের উপর হামলা ও সন্ত্রাসী তৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন সাংবাদিক, নাট্যজন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।