দিনাজপুর প্রতিনিধি ;
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়, অন্তর্বতীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের অপসারনের কথা চিন্তা করছেন। কিন্তু ওনারা ভেবে দেখছেন না যে দেশের সকল পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারন করায় কিধরনের অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। দেশের সব পৌরসভার সকল কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিশান সনদ, মৃত সনদসহ নানামূখী পৌরসভা সুবিধা নিতে আসা জনগন ব্যাপক হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। এমন সিদ্ধান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের উপরে নেওয়া হলে তা আরো বেশি ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াবে বলে আমরা মনে করি। আমরা আরও জানতে পেরেছি যে, আমাদের স্থলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হবে। এমনটা হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান কমে যাবে। এমনিতেই নানামুখি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকায় বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান আগের তুলনায় কমে গেছে। এতেকরে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। তাছাড়া শিক্ষকগণ স্থানীয় এলাকাবাসী না হওয়ায় তাদেরকে সহজে ওয়ার্ডবাসী কাছে পাবে না। এতে করে তারাও পৌরসভার মতো জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিশান সনদ, মৃত সনদ নিতে এসে হয়রানীর স্বীকার হবেন। এসময় ৭টি ইউনিয়নের ৮৪ জন ইউপি মেম্বার গন উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভ ও মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মো. আল কামাহ তমাল এর মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
তাই আজ আমরা মানববন্ধনে মাধ্যমে দাবি করছি যে, বিষয়টি বিবেচনা পুর্বক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের অপসারন না করে ভিন্ন পন্থায় সংস্কারের মধ্যদিয়ে তৃনমুল পর্যায়ে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করার হউক।