মোঃ শরিফুল মোল্লা নড়াইল জেলা প্রতিনিধি
নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার ৫ নং লক্ষ্মী পাশা ইউনিয়নে দাশের ডাঙ্গা গ্রামে দেহ ও মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় মা ও মেয়েকে বেদক মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জেসমিন বেগম ( ৫৩ ) স্বামী এবাদুল রেজা ( ৫৫) গ্রাম দাসের ডাঙ্গা সাংবাদিকদের বলেন ।
২ নভেম্বর ২০২৪ রাত ১:৩০ মিনিটের সময় সাজিয়া বেগম (২৫) পিতা করিম সিকদার । ঘরের ভিতরে লোহাগড়া পৌরসভার মোচড়া গ্রামের পল্টু মোল্লার (৩৫) কে লইয়া ইয়াবা সেবন করিয়া অবৈধ কাজে লিপ্ত অবস্থায় আমরা হাতেনাতে ধরি এবং ভিডিও ফুটেজ ধারণ করি। সাজিয়া ও তার পরিবার ইয়াবা গাঁজা ফেনসিডিল সহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসা করে আসিতেছে এবং সাজিয়া পূর্বে থেকে দেহ ব্যবসা করে আসিতেছেন আমাদের বাড়ি সাজিয়ার বাড়ি একই উঠানে হওয়ায় ইয়াবা সেবনের গন্ধ নাকে আশায় আমরা ঘরের ভেতর প্রবেশ করিলে পল্টু মোল্লার সাথে আপত্তিকার অবস্থায় দেখতে পেয়ে ভিডিও ধারণ করি আমাদের আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে বিষয়টি দেখতে পায়।পল্টু মোল্লা হাতে পায়ে ধরে লোক চক্ষুর আড়ালে মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে চলে যান ।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ায় তিন নভেম্বর সাজিয়াও সাজিয়ার মদক দাতা গণ আমার ঘরে ভেতর আসিয়া আমাকে ও আমার মেয়ে কামরুন নাহার এবং আমার যা শিউলি বেগম ও শিউলির মেয়ে রাবেয়া উক্ত ঘটনায় দেখতে পেয়েছেন বলে সকলকে বেধড়ক মারপিট করেন। আমার পেটে লোহার ছুরি দিয়ে আঘাত করতে গেলে আমি বাম হাত দিয়ে ঠেকাইয়া দিলে আমার বাম হাতের কব্জি দ্বিখণ্ডিত হয়।আশেপাশের লোকজন আমাদের ডাক চিৎকারে আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে আমার মেয়ে কামরুন নাহারকে এবং আমার যা শিউলি বেগমকে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা ধীন অবস্থায় ভর্তি করেন।
উক্ত এলাকায় বিভিন্ন জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায় সাজিয়া ২০১১ সালে লোহাগাড়া থানায় একটি দেহভিত্তিক মামলা হয় এবং একাধিক বিবাহে আবদ্ধ হয় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় সাজিয়া ও তার মা লাকি বেগম এবং ছোট বোন সোহানা পিতা করিম সিকদার মাদক ব্যবসা সহ দেহ ব্যবসা কাজে লিপ্ত আছেন।
এ বিষয়ে সাজিয়ার সাথে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। উক্ত ঘটনায় জেসমিন বেগম বাদী হয়ে লোহাগড়া থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেন । এবিষয়ে লোহাগড়া থানার এসআই আবু শুকুর এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।