তাজ চৌধুরী, দিনাজপুর ব্যুরো।
এক টানা বৃষ্টিতে মাথায় হাত পড়েছে দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার সব্জি চাষিদের। খেতে বৃষ্টির পানি জমে পচন শুরু হয়েছে গাছে। উৎপাদন কমছে। তবে এরকম দুর্যোগ আরও তিন দিন ধরে চললে ফসলের ছিটেফোটাও থাকবে না জানিয়েছেন কৃষকরা। বাজারে সব্জির দাম ক্রমশ বাড়ছে।
প্রখর রোদের কারণে জুন মাসে গ্রীষ্মকালীন ফসলের গাছের পাতা ঝলসে গিয়েছে। সেই ধাক্কা সামলে না-উঠতে শুরু হয় একটানা বৃষ্টিপাত। টানা বৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েন সব্জি চাষিরা। নিচু ও মাঝারি খেত পানিতে ডুবেছে। বেশ কিছু উঁচু খেতেও বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় গাছের পচন দেখা দিয়েছে। একটানা বৃষ্টিপাতের ফলে সবজি চাষিরা বিপাকে পড়েছে। খেতে পানি জমে যাওয়ায় গাছ নষ্ট হচ্ছে।
অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেগুন, করলা, পটল, মরিচ, ঢেড়শ ও শসা চাষিরা।
মাঝারি জমির সব্জি রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। যে সমস্ত গাছ টিকে আছে, তাতেও ফলন কমেছে।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা কৃষক তাজ চৌধুরী জানান, একটানা বৃষ্টিপাতের জন্য খেত থেকে পানি বাইরে বার করার কোনও ব্যবস্থা চাষিরা করে উঠতে পারছে না। ওই কারণে জটিলতা বেড়েছে।
খানসামা উপজেলার আরেকজন কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান প্রতিদিন খেতে জমে থাকা বৃষ্টির পানি শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচে ফেলে দিয়েও রক্ষা করতে পারিনি আমার দুই একর জমির বেগুন ক্ষেত।
এদিকে বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাল্টাতে শুরু করেছে সব্জি বাজার। বাইরে তাপমাত্রা কমলেও সবজি ছুঁয়ে দেখতে হাত পুড়ছে ক্রেতাদের। বাজার চক্কর কেটেও পছন্দ মতো সব্জি কিনে থলেতে তুলে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না ক্রেতাদের।
এব্যাপারে খানসামা উপজেলার নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব – উল – ইসলাম জানান আমরা ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কৃষি বিভাবের মাধ্যমে তালিকা সংগ্রহ করে সরকারি ভাবে কৃষি পূর্নবাসনে কৃষকদের অগ্রাধীকার দিবো।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..