সোমবার বিকেলে নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক জিয়া উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের পক্ষে চাচাতো ভাই মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। নগরীর ডবলমুরিং থানার ধনিয়ালাপাড়ায় মেসার্স মেগা মোটরস প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ বলেন, এ মামলায় সাহেদ করিম ছাড়াও মেসার্স মেগা মোটরসের সাবেক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন জানান, মেসার্স মেগা মোটরসের আমদানি করা থ্রি-হুইলার ঢাকা শহরে চলাচলের রুট পারমিটসহ সব অনুমতি নিয়ে দেয়ার কথা বলে কয়েক দফায় ৯১ লাখ ২৫ হাজার টাকা নেন সাহেদ। টাকা নেয়ার পর ২০১৭ সালের ৫ মার্চ বিআরটিএ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্রের ফটোকপি মেগা মোটরসের কাছে হস্তান্তর করেন তিনি। যেখানে দুইশ থ্রি-হুইলার ঢাকা শহরে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ ছিল। কিন্তু বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। তারা পরিপত্রের ফটোকপিটি ভুয়া বলে জানান। এরপর থেকে টাকা ফেরতের বিষয়ে সাহেদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ হলেও তিনি বিভিন্নভাবে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। তাই আইনের আশ্রয় নেয়া হয়।
করোনাভাইরাস পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়া, নিয়ম বহির্ভূতভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের প্রমাণ পায় র্যাব। এরপর ৬ থেকে ৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখা বন্ধ করে দেয়। র্যাবের ওই অভিযানের পর রিজেন্টের মালিক মোহাম্মদ সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর গণমাধ্যমে আসতে শুরু করে।