রকসী সিকদারঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনে (২০১৩) কে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে,বনাঞ্চল,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ির আশপাশে গড়ে উঠেছে অবৈধভাবে অনেক গুলো ইটের ভাটা। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়সহ জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে বলে জানান এলাকাবাসী।
উপজেলার মানিকপুরে অনুমোদনহীন অবৈধ ভাবে চলছে ৫টি ইটভাটা যেখানে ভাটা গুলোতে নেই কোন বৈধ কাগজ পত্র।সরেজমিনে গেলে দেখা যায় AMB1,AMB2 AMB3,DBM এবং UBM এই ইটভাটাগুলোতে জ্বালানি হিসেবে পোড়ানো হচ্ছে বনের কাঠ এবং ইট তৈরির কাঁচা মাল হিসেবে কাঠা হচ্ছে পাহাড়,ফসলি জমি,ফলে পরিবেশ বিপর্যয়, কৃষিকাজ সহ জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে বলে জানান এলাকাবাসী। এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের অভিযোগ অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে অনেক পত্র পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হলেও কোন রকম অভিযান বা পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় নি বরং উপজেলা প্রশাসন পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরব ভূমিকায় ইট ভাটার মালিকরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে পাহাড়ের কাঠ এবং পাহাড়ের মাটি কেটে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে পরিবেশ।
এবিষয়ে DBM এর মালিক বশর মেম্বার এবং AMB ১,২,৩ এর মালিক গিয়াসউদ্দিন এর সাথে কথা বললে তারা বলেন আমরা কি ভাবে ইটভাটা পরিচালনা করি প্রশাসন ভালো করে জানে আপনারা পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইউএনও এর সাথে কথা বলেন,আমরা সবকিছু ম্যানেজ করে কাজ শুরু করেছি।এবিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অবৈধভাবে পরিচালনা করা ইট ভাটা গুলোর বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
কক্সবাজার জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক জমির উদ্দিনের সাথে এই বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অচিরেই অবৈধ ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান।