রকসী সিকদারঃ
জন্মের সময় মাকে হারানো হাতি শাবকটি এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয়। কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের হাসপাতালে সার্বক্ষণিক পরিচর্যার মাধ্যমে হাতি শাবকটিকে ঝুঁকিমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। গত ৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১১ টায় টেকনাফের হোয়াইক্যং বিটের হরিখোলা বুরাবুনিয়া নামক স্থানে দলছুট গর্ভবতী বন্যহাতি ১ টি শাবক বাচ্চা প্রসব করে।
প্রসবকালীন হাতিটি যন্ত্রণা ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওইদিন বিকেল ৩ টায় মারা যায়। খবর পেয়েই কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের হোয়াইক্যং রেঞ্জ কর্মকর্তা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ মিনার চৌধুরী ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সহকর্মীদের নিয়ে।
পৌঁছেই দেখেন একটি মা হাতি মারা গেছে এবং তার পাশেই সদ্য প্রসব করা একটি বাচ্চা পড়ে রয়েছে।উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বাচ্চাটি কে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একইদিন বিকেলে হস্তান্তর করেন। ওইসময় হাতি শাবকটি অতিরিক্ত দূর্বল ছিল।
এবিষয়ে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘মা হারা দূর্বল হাতি শাবকটি তাৎক্ষণিক পার্কের হাসপাতালে নেওয়া হয়। কয়েকদিনের চিকিৎসা এবং পরিচর্যা পরিচর্চায় সামান্য শারিরীক উন্নতি হয় শাবকটির।’ ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। আশা করছি। শাবকটিকে স্বনির্ভরশীল করে তোলা যাবে।’
হাসপাতালের কোয়ান্টামে শাবকটিকে দুধ খাওয়াচ্ছেন সুশীল চাকমা নামের মাহুত। কথা হয় মাহুত সুশীল চাকমার সাথে। তিনি বলেন, শাবকটি পার্কে আনার পর কিছুই খাওয়ানো যাচ্ছিলো না।
অনেক কষ্টে মাতৃস্নেহ দিয়ে শাবকটিকে ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়া অভ্যস্থ করে তুলেছি। মাত্র ৬ দিন বয়সী শাবকটি কৃত্রিম উপায়ে দুধ পান করে এখন কিছুটা ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে এবং হাসপাতালের ভেতর নিজ রুমে একটু একটু হাটাহাটিও করছে।’
শাবকটি নিবিড় পরিচর্যায় আত্মনির্ভরশীল করে তোলা হচ্ছে মর্মে বনবিভাগের ঊর্ধতন কতৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে পার্কের তত্বাবধায়ক মাজহারুল ইসলাম জানান।