অনলাইন ডেস্কঃ
উন্নয়ন বরাদ্দের টাকায় মন্দিরের মাঠ ভরাটে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নামে মাত্র বালি ভরাট করে ৬০ হাজার টাকার ৪৬ হাজার টাকাই আত্নসাৎ করেন ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রুবেল গাজী।
জানাযায়, মন্দিরের মাঠ উন্নয়নের জন্য কাবিখা প্রকল্পের ৩ টন গম বরাদ্দ ছিল । ওই মাঠ ভরাট কাজে যার বর্তমান বাজার মূল্য ৬০হাজার টাকা কিন্তু সে কাজ মাত্র ১৪হাজার টাকায় নামমাত্র বালি ফেলে স্বরূপকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সবুর তালুকদারের অজান্তে বাকি টাকা আত্মস্যাৎ করেন স্থানীয় মেম্বার রুবেল গাজী।
সরেজমিনে গতকাল মৈশানী ম্যাসন্ডা হরিসভা মন্দিরে গেলে দেখা যায় মাঠের সামান্য অংশে বালি ভরাট করা হয়েছে যে কারণে বাকি অংশে পানি জমে রয়েছে। এসব বিষয়ে মন্দিরের পূরহিত জানায়, মন্দিরের মাঠের সামান্য অংশে ৪টাকা ফুট দরে মাত্র ৩৪০০ফুট বালি ভরাট করেছে স্থাণীয় মেম্বর রুবেল গাজী। মাঠের বাকি জায়গা ভরাট না করায় এখন মাঠে পানি আটকে রয়েছে। এব্যাপারে সমুদয়কাঠী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড(মৈশানী গ্রাম) মেম্বর রুবেল গাজী মুঠোফোনে বলেন, মন্দিরের মাঠ ভরাট করতে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বরাদ্দ কত ছিল প্রশ্নে তিনি জানান, সেটা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জানেন। কাজের সিপিসি কে প্রশ্নে বলেন, আমি। তাহলে বরাদ্দ কত সেটা কেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে জানতে হবে প্রশ্নে তিনি বলেন, দাদা আমি বরাদ্দের বিষয় জানিনা সেটা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জানেন। মাঠ ভরাটে কত ফুট বালি ফেলেছেন প্রশ্নে বলেন, ৪ হাজার ফুট, ৪ টাকা দরে। তবে, বালি ব্যাবসায়ি জানান, মৈশানী মন্দির মাঠ ভরাটে ৩৫ শত ফুট বালি ফেলেছি ৪ টাকা দরে মোট ১৪ হাজার টাকা দিয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস জাহানের ০১৭৩২৭৭৪৫৬৬ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার নামে কে কি বলেছে সেটা আমার জানার বিষয় নয়। ওখানে কাজ করেছে সিপিসি রুবেল গাজী এসব সেই ভাল বলতে পারবে। অফিস প্রটেক দিয়েছে আমাকে আমি সুধু প্রটেক দিয়েছি তাকে, এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কর্মকর্তা বলেন, ওখানে বরাদ্দের বিষয়টি মুখস্ত নাই দেখতে হবে।