ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মামুন মিয়া (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
র্যাবের দাবি, নিহত মামুন জেলার সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার প্রধান আসামি। তিনি সদর উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মুছা মিয়ার ছেলে।
সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাঁনপুর বাজার এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের উপপরিচালক চন্দন দেবনা জানান, এএসআই আমির হোসেনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মামুনকে ধরতে র্যাবের একটি দল স্থানীয় চাঁনপুর বাজারে যায়।
এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মামুন মিয়া ও তার সহযোগীরা গুলি চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি চালালে মামুন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তুল, চার রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ সময় র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক পান্নু ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দেলোয়ার আহত হন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকালে সাদা পোশাকে সদর উপজেলার চান্দপুর ব্রিজের কাছে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মামুন মিয়াকে ধরার সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তিনি ছুরি দিয়ে এএসআই আমির হোসেনের বুকের বাম পাশ ও মাঝখানে আঘাত করে। এতে এএসআই আমির হোসেন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মী মণি শঙ্করসহ স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় মামুন মিয়ার ছোট ভাই ইসমাইল মিয়াসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।