আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকা-৫ ও পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। এদিকে করোনাকালে অনুষ্ঠিত অন্যান্য উপনির্বাচনের মতো সিরাজগঞ্জ-১ ও ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনও পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান। সোমবার (২০ জুলাই) নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশন সভা শেষে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। মো. আলমগীর বলেন, ‘আগস্টের শেষ সপ্তাহে ঢাকা-৫ ও পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল দেওয়া হবে। সে সময় অনুষ্ঠেয় কমিশন বৈঠকে সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচন নিয়েও আলোচনা হবে। তবে ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত আরও পরে হবে। সোমবারের বৈঠকে কোনও নির্বাচনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, ‘ঢাকা-৫ ও পাবনা-৪ আসনের ভোট করোনার কারণে আগেই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার হাতে থাকা ৯০ দিন সময়ের মধ্যে ভোটের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে সেই মেয়াদ শেষ হবে যথাক্রমে ১ নভেম্বর এবং ২৮ সেপ্টেম্বর। আর যেহেতু করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে, তাই আপাতত ভোট হচ্ছে না। আগস্টের শেষ সপ্তাহে কমিশন বৈঠকে এই দুই আসনের ভোটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া, সিরাজগঞ্জ-১ আসনেও পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোটের সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন। এ আসনের ভোটও কবে হবে, তা নিয়ে আগস্টের শেষ সপ্তাহের কমিশন বৈঠকে আলোচনা হবে। এক্ষেত্রে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই আসনের ভোটের সময় পাওয়া যাবে। অন্যদিকে ঢাকা-১৮ আসনটি সম্প্রতি শূন্য হয়েছে। এই আসনের ভোটের জন্য এমনিতেই ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সময় আছে। পরবর্তী ৯০ দিনেও ভোট করলে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় আছে। কাজেই এ নির্বাচন নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে।গত ৬ মে বার্ধক্যজনিত কারণে হাবিবুর রহমান মোল্লা মৃত্যুবরণ করলে ঢাকা-৫ আসনটি শূন্য হয়। ২ এপ্রিল সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু মারা গেলে পাবনা-৪ আসনটি শূন্য হয়। সিরাজগঞ্জ-১ আসনটি শূন্য হয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নাসিম গত ১৩ জুন মারা গেলে। আর অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন গত ৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করলে শূন্য হয় ঢাকা-১৮ আসন।