মো:ফিরোজ,বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফল ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেরামতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নাম মাত্র কাজ করেছেন। কাজের গুনগত মান নিয়ে খোদ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিজেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, ২০১৯-২০ ইং অর্থ বছরে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের (এইচইডি) আওতায় বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ওপিডি ভবনের মেরামতের জন্য ২৮ লাখ ১১ হাজার ১শ ৬৩ টাকা বরাদ্ধ দেয়। জাবানা এন্টার প্রাইজ, মীরা বাড়ি, নবগ্রাম রোড বরিশাল নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি পান। কাজের প্যাকেজ নম্বর এইচডি/পিএটি/জিওবি/২০১৯-২০/০৩ , টেন্ডার নম্বর ৩৯৬৪০১, তারিখ ২২/০১/২০২০।
ওয়ার্ক ওয়ার্ডার অনুযায়ি তিন ধাপে ভবনের পুন: নির্মাণ ও মেরামত কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তা করেননি।
অভিযোগ রয়েছে, ওয়ার্ক ওয়ার্ডার অনুযায়ি এ-ওয়ানে প্লাস্টার, দরজা-জানালা ও চৌকাঠ, প্যাটানস্টোন, ও রংয়ের কাজসহ ৩৬ ধরণের, এ-টুতে বাথরুম, টয়লেট, বেসিন, লোডাউনসহ সহ ১৩ ধরণের এবং এ-ত্রিতে নতুন ফ্যান ক্রয়, সুইজ স্থাপন, বৈদ্যুতিক কাজসহ ১০ ধরণের কাজ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। কেবলমাত্র ভবনে গায়ে চুনকাম, ঘুনে ধরা দরজা-জানালায় পুটিং, রং করণ এবং নিম্নমানে বেসিন ও কয়েকটি ফ্যান বসানো হয়েছে। এ ছাড়া পুনর নির্মাণের অংশ হিসাবে একটি গাড়ীরর গ্রেজ স্থাপন করা হয়েছে। অন্যান্য কাজগুলো করা হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবাবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার কাজের গুনগত মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সাংবাদিককে বলেন, ‘সিডিউল অনুযায়ি কাজ হয়নি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাদের ইচ্ছেমত কাজ করেছেন।
এব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সজিব সাংবাদিককে বলেন,‘ আমারা সিডিউলের বাইরেও অনেক কাজ করেছি। কোন অনিয়ম হয়নি।’
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন,‘ কাজে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবেনা। অনিয়ম হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।