পটুয়াখালীর বাউফলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের এফ.ডবিøউ.এ এফ.ডবিøউ.ভি ও এস.এ.সি.এম.ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মেইল ব্যাগ ক্রয় বাবদ ৬০হাজার ৮শ টাকা উত্তোলন করেন ভূয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস নূরনবী ট্রেডাস। যার স¦ত্বাধিকারী আলিফ নুর নামের এক মিস্ত্রী।
খোজ নিয়ে জানা যায়, গত ৬/৭ মাস আগে বিভিন্ন মানুষের টাকা পয়সা নিয়ে আলিফ নুর বাউফল থেকে পালিয়ে যায়। সে কখনো ঠিকাদারী করেনি। একজন ক্ষুদ্র মিস্ত্রী মাত্র। তাঁর ঠিকাদারী করার প্রশ্নই আসে না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় কয়েকজন মিস্ত্রী বলেন- আলিফ নুর বাউফলের বিভিন্ন ফানির্চারের দোকানে কর্মচারী হিসাবে কাজ করতেন। একসময় বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কাজের নামে টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায় নুর।
তাহলে ব্যাগ ক্রয় বাবদ টাকা উত্তোলন করল কে? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায়- উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: জাকির হোসেন আলিফ নুরের নাম ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করে। আর নিজেই ঢাকা গিয়ে ৮শ টাকা মূল্যের ব্যাগের পরিবর্তে ২৫০টাকা মূল্যে নি¤œ মানের মেইল ব্যাগ ক্রয় করে এনে স্বাস্থ্য কর্মীদের মাঝে বিতরণ করেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য ৪শ টাকা মূল্যে ছাতা ক্রয়ের কথা থাকলে ২৫০ টাকা মূল্যে ছাতা সরবরাহ করেন ওই কর্মকর্তা। বাকী টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেন বলে জানা যায়।
এর আগে কাজ না করে মেরামত ও রঙের কাজ বাবদ বিল উত্তোলন করেন তিনি। যা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্বাস্থ্য কর্মী বলেন, জাকির স্যার ঢাকা থেকে এসব নি¤œ মানের ব্যাগ কিনে আনে। ব্যাগের মান অত্যন্ত খারাপ। আমি আমার ব্যাগটা বাসায় রেখে দিছি। ওই নতুন ব্যাগের চেয়ে আমার পুরান ব্যাগই ভালো।
ভূয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিভাবে ব্যাগ সরবরাহ করে এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: জাকির হোসনে বলেন,‘ আপনি ভূয়া বললেই তো হবে না! আলিফ নুর যখন বাউফলে ছিল তখন ঠিকাদারী করেছে।’
প্রতিবেদকের করা আর কোন প্রশ্নে সদত্তোর দিতে পারেনি ওই কর্মকর্তা।