বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু তথ্য প্রযুক্তি লীগ সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এবং তদন্ত সাপেক্ষে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তৎকালীন সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং উপ-প্রচার সম্পাদককে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের বহিষ্কার ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাবেক সভাপতি নঈম ব্যাপারী লিখিত বক্তব্যে বলেন, নানা অভিযোগে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু তথ্য প্রযুক্তি লীগ সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে তৎকালীন সভাপতি হাজী আজহারুল ইসলামকে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর মুহাম্মদ হৃদয়কে এবং উপ-প্রচার সম্পাদক শেখ বাহাদুরকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
পরবর্তীতে ওইসব বহিষ্কৃত ব্যক্তিরা একজোট হয়ে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে দলের ভাবমূর্তি ও নেতাকর্মীদের মনোবল নষ্ট করে দলের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ জুলাই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি নাম ঘোষণা করে। আমাদের সংগঠন বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু তথ্য প্রযুক্তি লীগ এর নাম ব্যবহার করে মিডিয়াতে প্রচার করে। আমরা অত্যন্ত জোরালো ভাবে বলতে চাই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ চালিয়ে যাওয়া কেন্দ্রীয় কমিটির তিন বছরের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ও মেয়াদ শেষ হতে এখনো এক বছর বাকি। এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটি ও সকল জেলা উপজেলা, থানা কমিটির ৯৯ শতাংশ সদস্য আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। এ অবস্থায় দুই একজন বিপথগামীও নতুন কিছু মুখ নিয়ে দুষ্কৃতিকারীদের ঘোষিত ২১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির তালিকা নিতান্তই হাস্যকর এবং একই সঙ্গে চরমভাবে নিন্দনীয়। ঘোষিত ওই ভুয়া কমিটির কয়েকজন ইতোমধ্যে আমাদের কাছে লিখিত প্রতিবাদ দিয়েছে যে তাদের বিনা অনুমতিতে ওই কমিটিতে তাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে এবং তাদের মূল দলের সঙ্গে একাত্মতা আছে। ওই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, নিজেরাই স্বাক্ষর করে তিন বছরের জন্য কমিটি অনুমোদন দিয়েছে যা কিনা গঠনতন্ত্র বহির্ভূত। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মো. আরিফুজ্জামান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল সিকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান প্রমুখ।