বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল মুসলমানদের পবিত্র ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্র,কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অভিভাবক, মানবিক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম।
পুলিশ সুপার বলেন, মুসলমানদের জীবনে এক স্বর্গীয় শান্তি ও আনন্দের বার্তা নিয়ে বছরে আসে দুটি ঈদ। ঈদের উৎসব মুসলমানদের নিবিড় ভাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ করে।দেশের বিদ্যমান ক্রান্তি-লগ্নে সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঈদের আনন্দ নিজেদের ভাগ করে নিতে হবে।
তিনি বলেন, শনিবার (১ আগষ্ট) সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিটি মসজিদে এবার ঈদ-উল-আযহার নামাজ আদায় করা এবং ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি বা হ্যান্ডশেক থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন।বেঁচে থাকলে আবারও ঈদ-আনন্দ করতে পারবো। আপনারা ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের আঘাতে এবারে হয়তো পূর্বের ন্যায় সবাইকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উদযাপন করা সম্ভব হবে না। তবুও আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন ঘনিষ্ঠজন, নিকটজনসহ সবাই ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেব। কোনো অসহায় ও দুস্থ মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সেজন্য যারা সচ্ছল ব্যক্তি তারা যেন তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, যাতে নিরন্ন মানুষরাও ঈদের আনন্দের অংশীদার হতে পারে।
তিনি আরো বলেন,জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গতবারের ন্যায় প্রথম আলোর চরের বাসিন্দেদের জন্য দুইটি গরু দেয়া হয়েছে।ঈদের পর সদর কচাকাটা চিলমারী ও উলিপুরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ত্রান বিতরন করা হবে। বিনোদন কেন্দ্রে অহেতুক ভীড় না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ জামাত মসজিদে আদায় ও কোরবানী করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে পুলিশ সুপারের উদ্যোগে জেলার প্রতিটি থানায় কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায়, বিধবা, ক্যাবল নেটওয়ার্ককর্মী, হরিজন সম্প্রদায়, বয়স্ক এবং তৃতীয় লিঙ্গ মানুষদের মাঝে একাধিকবার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।এবং জেলার বানভাসীদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।