লালমনিরহাট প্রতিনিধি
সম্প্রতি কয়েকটি প্রচার মাধ্যমে মাদক সংক্রান্তে প্রচারিত/প্রকাশিত সংবাদ লালমনিরহাট জেলা পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।গত ২৮ জুলাই, ২০২০ তারিখে একটি পত্রিকায় “ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা’’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। অপরদিকে ৩০ জুলাই, ২০২০ তারিখে লালমনিরহাট হতে প্রকাশিত সাপ্তাহিক একটি পত্রিকায় “আদিতমারী এখন মাদকে সয়লাব” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং ৩১ জুলাই, ২০২০ তারিখে একটি টিভি চ্যানেলে “খোদ পুলিশের বিরুদ্ধেই মাদক সেবনের অভিযোগ” শীর্ষক শিরোনামে “লালমনিহাটের আদিতমারী এবং কালীগঞ্জ এখন মাদকের স্বর্গরাজ্য” প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয়। পরবর্তীতে উল্লেখিত সংবাদগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে হতাশাবোধ সৃষ্টির আশংকা রয়েছে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ, ২০২০ তারিখে প্রথম করোনা ভাইরাস তথা কোভিড-১৯ সনাক্ত হওয়ার পর হতে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করে। এই ক্রান্তিকালে, কিছু মাদক ব্যবসায়ী বিভিন্ন কৌশলে মাথাচারা দিয়ে উঠার চেষ্টা করে। কিন্তু জেলা পুলিশ লালমনিরহাট জিরো টলারেন্স নীতিতে নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং মাদক কারবারি গ্রেফতার ও মাদক উদ্ধার করে আসছে, যা কখনওই শিথিল হয় নি, তবে কৌশলের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিগত ২০১৯ সাল এবং বর্তমান ২০২০ সালের ছয় মাসের তুলনামূলক বিচারে কোন ভাবেই মাদক উদ্ধার কিংবা আসামী গ্রেফতারের ক্ষেত্রে শৈথিল্য প্রকাশ পায় না। যা নিম্নের সারণীতে সহজেই অনুধাবনযোগ্য:-(২০১৯ জানুয়ারী-জুন মাস পর্যন্ত)মোট আসামী গ্রেফতার ৪৮৮ জন গাঁজা ২৬৫.১৮৫ কেজি ফেন্সিডিল ৩৭৩২ বোতল ইয়াবা ট্যাবলেট ১০১১০ পিচহেরোইন ৫০৬ পুড়িয়া বিদেশী মদ ২৯ বোতল দেশী মদ ৩৫ লিটারমামলার সংখ্যা ৪০১ টি(২০২০ জানুয়ারী-জুন মাস পর্যন্ত)মোট আসামী গ্রেফতার ৪৯৫ জনগাঁজা ৩৭৭.২১০ কেজিফেন্সিডিল ২৯৫৭ বোতল ইয়াবা ট্যাবলেট ২৮১৫৫ পিচহেরোইন ২৬.৬৯ গ্রামবিদেশী মদ২০ বোতলদেশী মদ ১০ লিটার মামলার সংখ্যা ৩৮৯ টা টিভি চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদে পুলিশ সদস্য কর্তৃক মাদক সেবনের যে ভিডিও চিত্র দেখানো হয়েছে তা প্রকৃতপক্ষে ডিসেম্বর-২০১৯ সালের ঘটনা বলে প্রতীয়মান হয়। যে ভিডিও চিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছে তাতে অভিযুক্ত মাদক সেবনকারী কর্মকর্তার গায়ে একটি শীতের জ্যাকেট পরিধান করা ছিল যা এর প্রমাণ বহন করে। তবে ঘটনাটি সংক্রান্তে জেলা পুলিশ অবহিত হওয়ার সাথে সাথে উল্লেখিত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
এছাড়া প্রকাশিত সংবাদে একজন এসআই এর নাম উল্লেখপূর্বক ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর নিকট হতে টাকা নেওয়ার যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে, সেটিও ২০১৯ সালের ঘটনা। তবে উল্লেখিত ঘটনা সংক্রান্তে অভিযোগকারী জনাব সুজিত ভদ্র (১০টি মামলার অভিযুক্ত ও এজাহারভুক্ত আসামী) গত ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ তারিখে পুলিশ সুপার, লালমনিরহাটের নিকট অভিযোগটি দাখিল করেন। অভিযোগ প্রাপ্তির সাথে সাথে পুলিশ সুপার, লালমনিরহাটের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল), লালমনিরহাট একটি অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন। যাতে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার প্রেক্ষিতে উল্লেখিত এসআই এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ আইন এবং পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল (পিআরবি) অনুযায়ী গত ১৬-০৬-২০২০ তারিখ
Leave a Reply