রেখা মনি, রংপুর স্টাফ রিপোর্টার
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসান রকির দুর্নীতির অভিযোগের নানা তথ্য-উপাত্ত পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
সুনির্দিষ্ট সাতটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করতে এসে আরও বেশকিছু অনিয়মের লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন তিনি।
বুধবার (০৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলা সমবায় কার্যালয়ে অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেন রংপুর বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের উপ নিবন্ধক মুহা: শাহীনুর ইসলাম।
তিনি এই অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে শাহীনুর ইসলাম এসব কথা বলেন।
এসময় উপ সহকারী নিবন্ধক ও লালমনিরহাট জেলা সমবায় কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদ উদ্দিন সরকার উপস্থিত ছিলেন।
শাহীনুর ইসলাম বলেন, ‘সাতটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এই তদন্ত করতে এসেছি। অভিযোগককারীরা দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন কাগজপত্র সরবরাহ করেছে।
আমরা কাগজপত্রগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখেছি। এইসব কাগজপত্র নিয়ে আমরা আরও যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা করে শিগগিরই উর্দ্ধতন মহলকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবো।
তিনি আরও বলেন, ‘একজন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর (হাসান রকি) বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বাইরেও আজকে আমরা আরও অনেক অভিযোগ পেয়েছি।
সব অভিযোগই পুঙ্খানুপভাবে যাচাই-বাছাই করেই আমরা তদন্ত প্রতিবেদন দেবো।’ অভিযোগকারীরা শতভাগ সুষ্ঠু বিচার পাবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।,
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসান রকির বিরুদ্ধে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক বরাবর আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করে রংধনু ভোগ্যপণ্য সমবায় সমিতি নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৬ জুলাই কালের কণ্ঠ অনলাইন ও ১৭ জুলাই কালের কণ্ঠে ‘সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
সংবাদটি সমবায় অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
এরই প্রেক্ষিতে রংপুর বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ন নিবন্ধকের আদেশে গত ২৬ জুলাই রংপুর বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের উপ নিবন্ধক মুহা: শাহীনুর ইসলামকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়।