ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কাতলামারী গ্রামের মোঃ জয়নাল আবেদীন (৪০)পিতা মৃত ইন্তাজ আলী গত ২৫ শে জুন ২০২০ ইং তারিখ ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার বরাবর একটি,অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগে আসামী ১। হালিম শিকদার (৫৮) পিতা মৃত ছাবেদ আলী শিকদার, ২। আলী হায়দার (৫৫) পিতা মৃত নজর আলী সরকার,৩। আ: রশিদ শিকদার (৩৫),পিতা হালিম শিকদার-৪। রাসেল শিকদার (২২)–৫। রাজু শিকদার (১৮) উভয় পিতা সহিদ শিকদার,সর্ব সাং কাতলামারী,থানা উপজেলা ভালুকা,ময়মনসিংহ ৫ জন নাম চিহ্নিত সহ ৮/১০ জন অজ্ঞাত আসামী করছেন। এস পি অভিযোগ গ্রহন করে ৩ ০-৬- ২০২০ ইং তারিখ ৪৪৪,স্বারকে ভালুকা মডেল থানায় প্রেরন করেছেন। এ দিকে ভালুকা থানার মহিলা দারোগা রিতা হালিম শিকদারের সঙ্গে আতাঁতকরে-বাদী জয়নাল আবেদীনের অভিযোগটি আজ পযর্ন্ত আলোর মুখ দেখতে দিচ্ছে না বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। তথ্য আরও জানান জয়নালকে এই বলে রিতা ভয় দেখায় যদিও ওসির সঙ্গে দেখা করে তা হল সমস্যা হবে- এবং জয়নাল আবেদীন কাছে টাকা দাবী করলে-জয়নাল টাকা দিতে ব্যর্থ হন । দারোগা,সুকৌশলের মাধ্যমে, অসহায় জয়নাল আবেদীনকে চাপে রেখে দিনের পর দিন তদন্তের নামে টালবাহানা করে সময় অতিবাহিত করছেন। সম্প্রতিতে অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ হলেও,রিতা হালিম শিকাদারের পক্ষ নিয়ে,বলেন, টাকা আছে যার প্রধান মন্ত্রী তার। কে এই মহিলা দারোগা ? দারোগার ভাষ্য এ রকম হওয়া উচিত না।অপরদিকে দুর্বল অসহায় জয়নাল আবেদীন তার মেয়ে সুমির উপর,যে,শারীরিক নির্যাতন হয়েছে- হালিম শিকদার ও তার বাহিনী কর্তৃক সেই কৃত ঘটনার প্রতিকার পেতে জয়নাল আবেদীন, সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেও কোন উপকার পায়নি। সুমি উপর নির্যাতন হয়েছে, তা,দেখতে গিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ নিজের ফেসবুক পেইজে বিচার দাবী করেছেন। তার পরেও রিতা,পুলিশী ক্ষমতার বলে বলিয়ান হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জয়নাল আবেদীনের মামলা বিপথে ঠেলে দিয়েছে। অর্থ দুর্বল,জয়নাল আবেদীন, হালিম শিকদার গং এর বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করে,বিভিন্ন মহলে আকুতি করে বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছ। ১৬ জুন২০২০ ইং মঙ্গলবার দিন কাতলামারী উচচ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী সুমি আক্তারের উপর যে হামলা হয়,সে এখন ভাল হয়নি-বাড়ীত মৃত্যুশায়ী অবস্থায় বিছানা পড়ে রয়েছে। টাকা অভাবে সুমির পিতা জয়নাল আবেদীন তার মেয়ের উপযুক্ত চিকিৎসা করাতে সক্ষম নন। ভালুকা থানায় হালিম শিকদার সহ ৫ জনের নামে ২৫ নং একটি মামলা থাকলেও থানা পুলিশ রহস্য জনককারণে তাদের গ্রেপ্তার করছে না। ফলে আসামীরা কিছু দিন পালিয়ে থেকে এখন বাড়ীতে এসে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে-আর বাদী জয়নাল আবেদীনের পরিবার পরিজনকে,আসামীরা হুমকি দিচ্ছে দা লাঠি নিয়ে ঘুরে। এ ঘটনা থানার দারোগা রিতাকে জয়নাল আবেদীন মোবাইলে অবহিত করলেও আসামী গ্রেপ্তার না দারোগা নির্বিকার থাকে। এছাড়া হালিমের টাকার গন্ধে স্থানীয় এক শ্রেনীর অর্থলাভী আওয়ামীলীগ নেতারা মুখ খুলে না। সুত্রে জানান ৮ নং ডাকাতিয়া ইউনিয়নের বতর্মান চেয়ারম্যানের আত্মীয় আলী হায়দার সরকার,নামের আসামী। আত্মীয়তার জন্য চেয়ারম্যান হালিম শিকদারের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করেন। কৃত ঘটনা জানাতে জেলা প্রতিনিধি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে-ওনি মোবাইল রিসিভ করে না। যার জন্য যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না এবং দারোগা রিতার সঙ্গে মোবাইল ফোনে জয়নাল আবেদীনের বিষয় জানতে চাইলে বিভিন্ন কথা বলে মুল ঘটনা এড়িয়ে হালিমের পক্ষে উকালতি করে বলেন মারা-মারিতে উভয়েই আহত হয়েছে। অথচ ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট বা অনলাইন কোন মিডিয়ায় হালিম শিকদারের পক্ষের লোক কেউ আহত হয়েছে-খবর প্রকাশ হয়নি–কেবল মহিলা দারোগা রিতার মুখেই শুনা যায়। ময়মনসিংহ পুলিশ সুপাররের নিকট জয়নাল অভিযোগ করলে-ভালুকা মডেল থানায় কর্মরত রিতা- জয়নালকে বলেন এস পির কাছে আবেদন করে লাভ কি কপি তো এখন থানায় পড়ে রয়েছে ? এই কথা শুনে,জয়নাল আবেদীন,সংশ্লিষ্ট থানার,ইনচার্জ কর্মকর্তাসহ উধর্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ-৪৪৪ নং স্বারকের অভিযোগ ভালুকা থানায় নথি ভুক্ত করে হালিম শিকদার গং দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply