তৌহিদ আহম্মেদ রেজা
কুমিল্লার লাকসামে র্যাব-১১ ও কুমিল্লা ঔষধ প্রশাসনের যৌথ অভিযানে ভুয়া ডাক্তার, কবিরাজ ও হোমিও ক্লিনিক এ নকল ঔষধ বিক্রির অভিযোগে মোবাইল কোটের মাধ্যমে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও ১টি প্রতিষ্ঠান সীলগালা করা হয়।
এসময় ওই ২টি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকার অবৈধ ও ভারতীয় নিষিদ্ধ ঔষধ ধ্বংস করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে লাকসাম পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসাম পৌরসভার জংশন থেকে ১০০ গজ দক্ষিণে রফিক ম্যানশনের ২য় তলায় প্লাট ভাড়া নিয়ে ভুয়া কবিরাজ মিজান কবিরাজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
সে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত স্বামী-স্ত্রীর অমিল, যাদু-টোনা, জ্বীনের আছর, সন্তান না হওয়া সহ বিভিন্ন তাবিজ, ঔষধ বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
এছাড়াও একই ভবনের নিচ তলায় জার্মান হোমিও ক্লিনিক নামে অণ্য একটি প্রতিষ্ঠান অবৈধ ভাবে বিভিন্ন যৌন উত্তেজক বড়ি ও নিন্মমানের ঔষধ বিক্রির মাধ্যমে প্রতারনা করে আসছে।
এদিকে একই এলাকার মজুমদার প্লাজায় কবিরাজ মিজান ও জার্মান হোমিও ক্লিনিক যৌথ ভাবে নকল ঔষধ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনলাইনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে। লাখ লাখ টাকা। কুমিল্লা র্যাব-১১ ও জেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং কুমিল্লা ঔষধ প্রশাসনের যৌথ অভিযানে জার্মান হোমিও ক্লিনিকের ভুয়া ডাক্তার আরিফুর রহমান কে ১ লাখ টাকা অনাদায়ে ৩ মাসের সাজা, জার্মান হোমিও ক্লিনিকের মালিক জহিরুল হক কে ৫০ হাজার টাকা অনাদায়ে ৩ মাসের সাজা ও অনলাইনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নকল ঔষধ বিক্রি করার দায়ে ৩ যুবক কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও ভোক্তাধিকার আইনে ভুয়া কবিরাজ মিজান ও জার্মান হোমিও ক্লিনিক এবং নকল ঔষধ বিক্রিকারীসহ কবিরাজ মিজানের প্রতিষ্ঠান সীলগালা করা হয়।
কুমিল্লা র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার তালুকদার নাজমুস সাকিব ও কুমিল্লা জেলা ঔষধ প্রশাসনের উপ-পরিচালক সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযানে কুমিল্লা জেলা র্নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেড মোঃ গোলাম মোস্তফা ভোক্তাধিকার আইনে এ সাজা প্রদান করেন।
র্যাব প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অবৈধ কার্যক্রমকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তারই অংশ হিসাবে আজকে ৩টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা ও সীলগালা করা হয়েছে। অভিযানের সংবাদ পেয়ে কবিরাজ মিজান পালিয়েছে।