লালমনিরহাট প্রতিনিধি.
হাতীবান্ধায় বাবাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছেলে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। মারধরের পর মা-বাবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছে ছেলে। এমন ঘটনাটি ঘটেছে ওই উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামে। ছেলে হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাবা বিচার চেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় একাধিকবার অভিযোগ করেও বিচার পায়নি এমন অভিযোগ ভুক্তভূগী আব্দুল আজিজের।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার আব্দুল আজিজের ছোট ছেলে রফিকুল ইসলাম ঢাকায় চাকুরি করে প্রতিমাসে বাড়িতে টাকা পাঠাতেন। ওই টাকা বাবা আব্দুল আজিজ ও মা সফিয়া বেগম খরচ করে খেতেন। সম্প্রতি রফিকুল ইসলাম বাড়ি এসে তার পাঠানো টাকা দাবি করলে বাবা-মায়ের সাথে ছেলের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এনিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশও হয়েছে। টাকা ফেরত চেয়ে বিভিন্ন সময় ছেলে রফিকুল ইসলাম তার বাবা আব্দুল আজিজকে মারধর করতেন। এনিয়ে বাবা আব্দুল আজিজ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় লিখিত অভিযোগও করেন। কিন্তু কোনো বিচার পায়নি।
গত ৯ জানুয়ারি ছেলে রফিকুল ইসলাম তার বাবা-মাকে আবারও মারধর করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে আব্দুল আজিজ দেখেন তাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে ছেলে রফিকুল ইসলাম। পরে আইনী সহযোগিতা চেয়ে সোমবার স্থানীয় থানায় আবারও অভিযোগ করেছেন বাবা আব্দুল আজিজ।
এ বিষয়ে আব্দুল আজিজ-সফিয়া বেগম দম্পতি বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে আমার ছোট ছেলে ও তার বউয়ের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। কিন্তু স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় একাধিকবার অভিযোগ করেও বিচার পায়নি।
তবে এ প্রসেঙ্গ ছেলে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা আমাকে প্রায় সময় মারধর করেন। তাই আমিও তাকে মেরেছি এবং আমি রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। যদি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বলে তাহলে আমি রাস্তা খুলে দিবো।
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমি নিজেই বিষয়টি দেখভাল করছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply